প্রতীকী ছবি।
আজ বহরমপুর টেক্সটাইল মোড়ে কংগ্রেসের যুব সমাবেশ। সেখানে উপস্থিত থাকবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। সেখানেই কংগ্রেসের পতাকা তুলে নেওয়ার সম্ভাবনা বর্তমানে নির্দল জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডলের। শুধু মধুই নন। শাসকদল তৃণমূলের তো বটেই অন্য দলের আরও অনেকেই অধীরের হাত ধরে ‘ঘরে ফিরতে’ পারেন বলে কংগ্রেসের ধারণা।
সেই তালিকায় থাকতে পারেন বিভিন্ন পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, ব্লক সভাপতি থেকে থেকে কাউন্সিলর। এমনকি পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। ফিরতে পারেন অধীর ঘনিষ্ঠ নীলরতন আঢ্য। সম্প্রতি তাঁর বর্তমান দল তৃণমূলের জেলা সভাপতি আবু তাহের খান তাঁকে ‘লস্ট কেস’ বলে দাবি করেছিলেন। যদিও নীলরতন বলেন, “এই মুহুর্তে আমি কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি। যদি নিই তাহলে সবাইকে জানিয়েই সেই সিদ্ধান্ত নেব।”
কংগ্রেসে ফেরার কথা হাওয়ায় ভাসছে মুর্শিদাবাদ বিধানসভা এলাকার কয়েক জন নেতা সম্পর্কেও। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদ বিধানসভার প্রার্থীকে ঘিরে তৃণমূলের অন্দরে কোলাহল শুরু হয়েছে। তৃণমূলের অন্দরের খবর, ওই বিধায়ক শাওনি সিংহ রায়ের বিরুদ্ধ গোষ্ঠী বলে পরিচিত লালবাগ পুরসভার প্রশাসক বিপ্লব চক্রবর্তী, জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ পুরসভার প্রশাসক প্রসেনজিৎ ঘোষরা দলের কোর কমিটির বৈঠকে আগামী বিধানসভা ভোটে শাওনির বিরোধিতা করেন। তাঁরা দাবি করেছিলেন, শাওনি টিকিট পেলে তাঁরা বিধায়কের হয়ে ভোট না করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন নেতাদের। যা বিধানসভা ভোটের আগে বিপ্লব চক্রবর্তীরও ঘরে ফেরার জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকটা। অধীর চৌধুরীর দলে ফেরার উদাত্ত আহবানে তিনি সাড়া দিতেও পারেন বলে গুঞ্জন শহরে। যদিও বিপ্লব বলেন, “বিধায়কের কর্ম পদ্ধতিতে সাধারণ মানুষ সন্তুষ্ট নয় সে কথা দলকে জানিয়েছি। তার মানে এই নয় আমি দলবদল করছি। এ ধরনের কথা ভিত্তিহীন।” তৃণমূলের কোর কমিটির অন্যতম সদস্য মইনুল হাসান বলেন, “ দলের অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক কথা বাইরে বলার মত নয়। সুতরাং এবিষয়ে আমি কিছু বলবো না।” কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, “যুব সমাবেশে যদি কিছু চিত্রনাট্য তৈরি হয়, তার উন্মোচন হবে শুক্রবার। আর তা সবার সামনেই।”
তবে মোশারফ পরিষ্কারই জানিয়েছেন, ‘‘শুক্রবারই কংগ্রেসে যোগ দেব। আর সাথে কে বা কারা যোগ দেয় তা সময় হলেই দেখতে পাবেন।’’ তবে সেক্ষেত্রেও কিছু বাধা রয়েছে। নওদা ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সুনীল মণ্ডল বলছেন, ‘‘মধু আমাদের দলে যোগ দেবে কি-না সেবিষয়ে দল আমাদের কোনও মতামত নেয়নি। আর দলীয় ভাবে এখনও পর্যন্ত তা জানিও না।’’ তবে সদলবলে মধু কংগ্রেসে যোগ দিলে নওদার পুরনো কংগ্রেস নেতা কর্মী ও তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নেতা কর্মীদের একাংশ তাকে মেনে নেবেন না বলেই কংগ্রেসের অন্দরের খবর। দিন কয়েক আগে নওদার পাটিকাবাড়ি হাইস্কুল মাঠে কংগ্রেসের এক কর্মিসভায় চাঁদপুর অঞ্চল কংগ্রেস সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি সাহাবুদ্দিন মোল্লা প্রকাশ্য সভায় সাফ জানিয়ে দেন মধু কংগ্রেসে যোগ দিলে তাঁরা কোনও মতেই মেনে নেবেন না। এ কথা দলের প্রদেশ সভাপতিও জানেন বলে দাবি সাহাবুদ্দিন মোল্লার। কংগ্রেসের তৃণমূল স্তরের কর্মীদের একাংশের কর্মীরাও মধুকে তাদের নেতা মানতে নারাজ বলে দলের অন্দরের খবর।
প্রায় বছর খানেক আগে নওদা ব্লক তৃণমূল যুব সভাপতি মতিউর রহমান ঘাসফুল ছেড়ে সদলবলে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি দলের ব্লকের সাধারণ সম্পাদক। মধু কংগ্রেসে যাওয়ার কথা শোনার পর মতিউর বলছেন, ‘‘যার জন্য তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে এসেছি সে-ই আবার কংগ্রেসে যোগ দেবে শুনছি। যদি তা সত্যি হয় তবে, কর্মীরা সেটাকে ভালো ভাবে মেনে নেবেনা। আমরা দাদার (অধীরের) নেতৃত্বে দল করি। তিনি আমাদের যা নির্দেশ দেবেন তা-ই মেনে চলব।’’
তবু মধু কংগ্রেসে যোগ দিলে নওদায় কংগ্রেসে গোষ্ঠী কোন্দল দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা দলের নেতা- কর্মীদের একাংশের মনে। তবে তাতে কোনও হেলদোল নেই মধুর। মধু বলছেন, ‘‘আমি সর্বস্তরের নেতা কর্মীদের নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করব। কংগ্রেস কর্মীরা অবশ্যই তা মেনে নেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy