জঙ্গি-যোগে নদিয়ার থানারপাড়া থেকে মহম্মদ বিপ্লব বিশ্বাস ওরফে আবদুল্লাহ নামে ৩২ বছরের এক যুবককে বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। বৃহস্পতিবার বহরমপুরের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের বিচারক দিলওয়ার হোসেন ধৃতের তিন দিন এসটিএফ হেফাজতের নির্দেশ দেন। এ দিন আনসারুল্লা বাংলা টিম বা এবিটির পাঁচ সদস্য নুর ইসলাম মণ্ডল, তারিকুল ওরফে সাদিক, আব্বাস আলি, শাব রাডি ও মিনারুল শেখকেও একই মামলায় এসটিএফ হেফাজত শেষে কোর্টে পেশ করা হলে তাদের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়।
বহরমপুর আদালতের সরকারি কৌঁসুলি বিশ্বপতি সরকার বলেন, “বিপ্লবকে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি ফের কোর্টে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তিনি জানান, ধৃত সাজিবুল ইসলাম-সহ তিন জনের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য এফটিএফের আবেদন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার মাদ্রাসা অসম পুলিশের হাতে ধৃত এবিটি সদস্য আব্বাসের ছিল। সেটির সঙ্গে যুক্ত ছিল আবদুল্লাহ। তবে বিপ্লবের ভাই বাবু বিশ্বাস বলেন, “আমাদের পরিবারের কেউ কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত নয়। চাষের জমিতে সেচের জন্য পুরনো যন্ত্র কিনতে নানা জায়গায় দাদা খোঁজ করছিল। বেশ কিছু দিন আগে হরিহরপাড়ার মিনারুল শেখের সঙ্গে এ নিয়ে মিনিট দশেক কথা বলে। এই ফোনই তার কাল হয়েছে।” বাবু জানান, মিনারুলকে কেন বিপ্লব ফোন করেছিলেন, তাঁদের কী কথা হয়েছিল, তা জানতে গত এক মাসে বিপ্লবকে চার বার নোটিস দিয়ে কলকাতায় ডাকা হয়। তিনি বলেন, “শেষ বার নোটিস পেয়ে দাদা বুধবার কলকাতায় হাজিরা দিতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছে।”
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)