প্রতীকী ছবি।
সজোরে না হলেও ভোটের ঢাকে মৃদু বোল উঠেছে।
দেওয়াল দখল, সম্ভাব্য প্রার্থী এমনকি প্রার্থী পদের জন্য দলবদলের কানাঘুষোও শুরু হয়ে গিয়েছে। আর, সেই সম্ভাবনাকে আঁকড়েই শাসক দলের মেজ-সেজ নেতারা নিজের অনুগামীদের নিয়ে শুরু করেছেন জন সংযোগ। দলের অন্দরের খবর, ঘরোয়া প্রস্তুতি হিসেবে অনেকেই এলাকায় পাড়া পড়শির কাছে দরবার শুরু করেছেন। আজ ১৭ জানুয়ারি ওই সংরক্ষণের তালিকা ঘোষণার কথা। তবে প্রার্থী হওয়ার আকাঙ্খায় ফোনে, হোয়াটসঅ্যাপে এবং সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে আলাপ-আলোচনা।
তৃণমূলের এক জেলা নেতা অবশ্য বলছেন, ‘‘কে প্রার্থী কেউ জানে না। এ তো দেখছি গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেলের প্রতিযোগিতা!’’
দলের রাজ্য নেতৃত্ব বেলডাঙার জন্য চার জনের কমিটি গড়েছে। ১৭ জনের উপ-কমিটির প্রস্তাবও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৪টি ওয়ার্ডের একটি তালিকা ইতিমধ্যেই বাজারে ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে, যার মধ্যে— ১, ৪, ৫, ৭ , ৯, ১১, ১২ এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ। ২, ৩, ৬, ১০, ১৩ মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডটি তপশিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত।
৬ নম্বর ওয়ার্ডে দীর্ঘ দিনের কংগ্রেস কাউন্সিলর সম্প্রীতি মারা গিয়েছেন। ওই ওয়ার্ডের এক বাম নেতা সদ্য যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। অতীতে ওই ওয়ার্ডে দাঁড়িয়ে হেরে যাওয়ার নজির রয়েছে তাঁর। তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতা বলছেন, ‘‘প্রার্থী হওয়ার বাসনায় এখনই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন তিনি।’’ ওই দলত্যাগী বাম নেতা কোনও রাখঢাক না রেখেই বলছেন, “আমি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে এলাকায় তৃণমূলের সংগঠন বেড়েছে। ফলে আমার এই ওয়ার্ডে টিকিট পাওয়া উচিৎ। তাই ভোটে লড়ার কাজ এগিয়ে রাখছি।’’ ঠিক তেমনই, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে এক ব্যবসায়ী ধরে নিয়েছেন তিনিই হচ্ছেন প্রার্থী। আচমকাই বাড়ি বাড়ি ঘুরে জনসংযোগ শুরু করেছেন তিনি। ১০ নম্বর ওয়ার্ডে নিজেকে সম্ভাব্য মহিলা প্রার্থী ধরে নিয়ে ওই ওয়ার্ডে এক ব্যবসায়ীর স্ত্রী দিনভর পড়ে থাকছেন পাড়া-পড়শির বাড়িতে। মাঝে মধ্যে আলগোছে প্রশ্নও রাখছেন, ‘আচ্ছা দিদি, ভোটে দাঁড়ালে আমাকে জেতাবেন তো?’ ওই ওয়ার্ডের এক মহিলা বলছেন, ‘‘এত দিন দেখলে মুখ ঘুরিয়ে নিতেন। এখন সব ফেলে আমাদের সঙ্গে পড়ে থাকছেন। বুঝতে পারছি, তিনি ভোটে দাঁড়াবেন ভেবে মেলামেশা শুরু করেছেন।’’ ১২ নম্বর ওয়ার্ডে তুহিনারা বেগম আবার সরাসরি বলছেন, ‘‘আমি এই ওয়ার্ডে সব চেয়ে যোগ্য প্রার্থী। সেই মত প্রস্তুতি শুরু করেছি। আশা করছি দল আমার কথাই ভাববে।”
যা শুনে, বেলডাঙা শহর তৃণমূলের সভাপতি সুভাষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দল যা ঠিক করবে তাই চূড়ান্ত। নিজেকে প্রার্থী ভেবে কেউ প্রচার করলে সেটা তাঁর দায়। দলে এ ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy