আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাস বোঝাই করে ছুটছেন কর্মীরা। রুট থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে বহু বাস। আজ রাস্তায় নেমে নাকাল হওয়ার আশঙ্কা যাত্রীদের।
দু’দিনের জেলা সফরে প্রথম দিন, বুধবার ডোমকলে সরকারি সভা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নানা প্রকল্পের উপভোক্তাদের এখান থেকে সাহায্য বিলি করা হবে। কাল, বৃহস্পতিবার বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে প্রশাসনিক বৈঠক।
ডোমকলে উপভোক্তাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য জেলার বিভিন্ন রুট থেকে ইতিমধ্যেই প্রায় সব বেসরকারি বাস ও ট্রেকার তুলে নেওয়া হয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, পাঁচটি মহকুমা থেকে হাজার পঞ্চাশেক উপভোক্তাকে সভায় হাজির করানোর চেষ্টা হচ্ছে। বহরমপুর থেকে ৮ হাজার, বেলডাঙা ১, মুর্শিদাবাদ-জিয়াগঞ্জ ও হরিহরপাড়া থেকে দু’হাজার করে ছ’হাজার, রানিনগর ১ ও ২ এবং জলঙ্গি থেকে ৫ হাজার জন করে ১৫ হাজার, ডোমকল থেকে ২০ হাজার উপভোক্তা আসার কথা। নওদা, বেলডাঙা ২, ভগবানগোলা ১ ও ২, লালগোলা, নবগ্রাম, কান্দি, ভরতপুর ১ ও ২, বড়ঞা, খড়গ্রাম, সাগরদিঘি, রঘুনাথগঞ্জ ১ ও ২, সুতি ১ ও ২, ফরাক্কা ব্লক থেকে একশো জন করে উপভোক্তা নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে প্রশাসন।
বহরমপুর থেকে ৩১৯টি, রঘুনাথগঞ্জ ও কান্দি থেকে দেড়শোটি করে, পাঁচগ্রাম থেকে ৫০টি বেসরকারি বাস নেওয়া হয়েছে। বহরমপুর ফেডারেশন অফ বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সম্পাদক রথীন মণ্ডল জানান, জেলার বিভিন্ন রুট থেকে সাতশোর মতো বাস দেওয়া হচ্ছে। সংগঠনের এক কর্তার দাবি, নদিয়া থেকেও ৫০টি বাস ভাড়া হয়েছে। পাশপাশি, ভাড়া করা হচ্ছে ট্রেকার এবং টোটোও।
তা হলে তো বড়সড় ভোগান্তির মুখে পড়বেন জেলার যাত্রীরা?
জেলাশাসক শরদকুমার দ্বিবেদী এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর দাবি, সরকারি সভা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ডোমকলকে বাছার কারণ আসন্ন পুরভোট। সরকারি সভা থেকে ভোটের প্রচার হবে। তাঁর কটাক্ষ, ‘‘সমস্ত বাস-ট্রেকার তুলে নেওয়া হলে মা-মাটি-মানুষের যে অসুবিধে হবে তা মা-মাটি-মানুষের নেত্রীর বোঝা উচিত।’’
জেলা তৃণমূল সভাপতি মান্নান হোসেন অবশ্য দাবি করেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী উন্নয়নমূলক কাজে জেলা ভরিয়ে দেওয়ার বার্তা দিতে আসছেন। তা শুনতে সকলেই ডোমকলে যাবে। কারও অসুবিধে হবে না। সরকারি বাসও পথে নামবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy