শনিবার থেকে বহরমপুর ব্যারাক স্কোয়ারে শুরু হল জেলা বইমেলা। ৯ ডিসেম্বর, ২০২৩। ছবি গৌতম প্রামাণিক
২০১০ সালের পরে গ্রন্থাগারগুলিতে কর্মী নিয়োগ হয়নি। যার জেরে একাধিক গ্রন্থাগার বন্ধ হয়েছে, একাধিক গ্রন্থাগার অন্য কর্মীদের চালানোর জন্য অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যার জেরে গ্রন্থাগার চালাতে গিয়ে হিমসিম খেতে হচ্ছে কর্মীদের। এই পরিস্থিতিতে শনিবার বহরমপুরে জেলা বইমেলার উদ্বোধনে এসে গ্রন্থাগারে স্থায়ী কর্মী নিযোগে কথা জানালেন রাজ্যের গ্রন্থাগার দফতরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
শনিবার বিকেলে বহমরপুর ব্যারাক স্কোয়ারে ৪৩ তম জেলা বইমেলার উদ্বোধন করে গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ‘‘রাজ্যে ২০৫৫টি গ্রন্থাগার আছে। কর্মীর অভাবে ৭৪১ গ্রন্থাগারে অতিরিক্ত দায়িত্ব দিয়ে চালাতে হচ্ছে। শীঘ্রই নিয়োগ করা হবে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বামেরা এককালীন নিয়োগ করেনি। তাদের বোঝা আমাদের টানতে হচ্ছে। গ্রন্থাগার দফতরে ৭৩৮টি নতুন পদে নিযুক্তি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই জেলায় শুন্যপদ ৩৬টি। সে সব পদে ছেলেমেয়েরা স্থায়ী চাকরি পাবেন।’’ কিন্তু দেখা যাচ্ছে ২০১০ সালের পরে কোনও কর্মী নিয়োগ হয়নি। এই প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘‘চাকরিতে নিয়োগ দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হয়। এবারে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ৬০-৭০ কাজ হয়ে গিয়েছে। শীঘ্রই কর্মী নিয়োগ হবে।’’ সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ‘‘বাম আমলে গ্রন্ত্রাগারকে তাঁরা দলীয় অফিসের মতো ব্যবহার করেছেন।’’ যদিও বামেরা মন্ত্রীর অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
এদিন মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অন্য মনীষী ও লেখকদের বইয়ের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বই ‘বিপন্ন গণতন্ত্র’ পড়ার পরামর্শ দেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ে লেখা বই, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বই, স্বামীজীর লেখা বই পড়ুন। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই বিপন্ন গণতন্ত্র পড়ুন। তিনি ভারতের গণতন্ত্রের বিপন্নতার কথা তুলে ধরেছেন সেই বইতে। আমি কারও বই প্রচার করতে আসিনি।’’ ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বইমেলা চলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy