প্রতীকী ছবি।
রাতের আগুনে পুড়ে খাক হল রঘুনাথগঞ্জের সাতটি দোকান। স্থানীয় বাসিন্দাদের রাতভরের চেষ্টায় লেলিহান শিখা নিয়ন্ত্রণে এলেও উঠে গেল সেই চেনা প্রশ্ন— মুর্শিদাবাদের এই প্রান্তিক জনপদে দমকল কেন্দ্র হবে কবে? সোমবার রাতে জঙ্গিপুর হাসপাতাল লাগোয়া ফুলতলাপল্লিতে আগুনের ফুলকি দেখা যায়। আশপাশের বাসিন্দারা জলের খোঁজ করতে করতেই ছড়িয়ে পড়ে আগুন। পুড়তে থাকে একের পর এক দোকান।
উত্তাপের আঁচ ক্রমশ ছড়াতে থাকে জঙ্গিপুর হাসপাতালে। আতঙ্ক ছড়ায় রোগীদের মধ্যে। স্থানীয় বাসিন্দাদের আগুন নেভানোর আপ্রাণ চেষ্টা ছাড়া করণীয় কিছুই ছিল না। দমকলের নিকটবর্তী স্টেশন প্রায় পঁয়ত্রিশ কিলোমিটার দূরের ধুলিয়ান। দোকানিদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি সেখান থেকে দমকলের ইঞ্জিন আসার আগেই আগুন ছড়িয়ে পড়বে। সে ভরসায় না থেকে আশপাশের পাড়া, রাস্তার কল থেকে জল এনে ঢালতে শুরু করেন এলাকার মানুষজন।
খবর পেয়ে ফুলতলা এলাকার দোকান মালিকেরা বাড়ি থেকে ছুটে এসে দোকানে থাকা মালপত্র বের করতে শুরু করেন। তাতে হাত লাগান স্থানীয়েরাও। আসে পুলিশ। ইতিমধ্যেই আগুনের শিখা ইলেকট্রিকের তার ছুঁয়ে যায়। আতঙ্কে কেটে দেওয়া হয় গোটা শহরের বিদ্যুৎ সংযোগ। দোকান পুড়ে যাওয়ার পাশাপাশি নিষ্প্রদীপ জঙ্গিপুর হাঁসফাস করতে থাকে।
এমন ঘটনা জঙ্গিপুরে অবশ্য নতুন নয়। ৪ ফেব্রুয়ারি সকালে শহরের জনবহুল এলাকায় আগুনে ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছিল ফুড কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার একটি বিশাল গুদাম। প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে ধুলিয়ান থেকে দমকল আসার আগেই আগুনের ফুলকি ছড়িয়ে পড়েছিল গুদামের আশপাশের এলাকাতেও। একই ভাবে গত ২৮ মার্চ মাঝ রাতের অগ্নিকাণ্ডে রঘুনাথগঞ্জ শহরের বাস স্ট্যান্ডের মধ্যেই দাঁড়িয়ে থাকা তিনটি বেসরকারি বাস পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ঘুমন্ত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান এক খালাসিও।
সে ক্ষেত্রেও ভরসা ছিলেন আশপাশের মানুষজন। দমকল রয়ে গিয়েছিল অলীক এক স্বপ্ন হয়েই। দমকলের ধুলিয়ান কেন্দ্রের ওসি কার্তিক পটনায়েক বলেন, ‘‘দমকলের গাড়ি যখন জঙ্গিপুরে পৌঁছয় তখন আগুন ভয়াবহ আকার নিয়েছে। তাই কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে আগুনে বেশ কিছু দোকান পুড়ে গিয়েছে।’’
রাতেই ঘটনাস্থলে আসেন জঙ্গিপুরের পুরপ্রধান মোজাহারুল ইসলাম। তিনি বলেন, “দোকানগুলিতে বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলেও আগুন প্রতিরোধের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। বেশিরভাগই দোকানেই দাহ্য পদার্থের মালপত্র ছিল। তাতেই আগুন এত ভয়াবহ আকার নেয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy