প্রতীকী ছবি।
জেলার ছ’টি ব্লাডব্যাঙ্ক রক্তের জোগানের জন্য একে অপরের মধ্যে যোগাযোগ রেখে চলে। করোনা কালেও তার কোন ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলায় বেসরকারি ব্লাডব্যাঙ্ক না থাকায় বেসরকারি হাসপাতালের প্রয়োজনীয় রক্তের জোগানও দিতে হয় জেলার ছ’টি ব্ল্যাড ব্যাঙ্ককেই। এর মধ্যে সব থেকে বেশি চাপ বহরমপুর ব্লাডব্যাঙ্কে জেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এমনকি মহকুমা হাসপাতালের রোগী রেফারের জন্য রক্তের আকাল বেশি বহরমপুর ব্লাড ব্যাঙ্কে। এমনিতেই ওই জেলা হাসপাতালে থ্যালাসেমিয়া থেকে ডায়ালিসিস এমনকি মাতৃমা বিভাগের জন্য দৈনিক কমপক্ষে ৪০-৫০ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন। তার পাশাপাশি রেফার করা রোগী ও নিজেদের জন্য প্রয়োজনীয় রক্তের জোগান দিতে হিমসিম খেতে হয় ওই ব্লাডব্যাঙ্ককে।
বহরমপুর বাদ দিয়ে জেলার অন্য ব্লাডব্যাঙ্কগুলিতে বিকেল চারটে পর্যন্ত রক্ত সরবরাহের ব্যবস্থা থাকে। বাকি সময়টুকু ওই হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের প্রয়োজনে রক্ত দেওয়া হয়। কিন্তু বহরমপুর ব্লাডব্যাঙ্ক ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকায় চারটের পর সরকারি বেসরকারি সব স্তরের রোগীর ভিড় এখানে বেশি হয়। বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা অন্য কোনও হাসপাতাল বাকি ৫টি ব্লাডব্যাঙ্কগুলি থেকে এই সুবিধা অবশ্য রবিবার পান না এমনটাই ওই হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়। ওই দিন শুধু ওই সব হাসপাতালে ভর্তি থাকা অসুস্থ রোগীদের জন্য প্রয়োজনে রক্ত দেওয়া হয়। সেদিনও ভরসা দেয় বহরমপুর ব্লাডব্যাঙ্ক।
জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার সায়ন দাস বলেন, “যদি মা বা শিশুর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় রক্ত জোগাড় না করতে পারেন তাঁদের বাড়ির লোক, তা হলে তাঁদের বাঁচানোর স্বার্থেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে হয়। এ ছাড়া কোনও উপায় থাকে না।” তবে চিকিৎসকরা জানান, “রক্ত মজুত না থাকলেও রোগীর বাড়ির লোকজন কেউ অন্য গ্রুপের রক্ত দিলে তাকে প্রয়োজনীয় গ্রুপের রক্ত দেওয়া হয় রক্তের ঘাটতি ঢাকতে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীর পরিবার রেডিমেড রক্তের দাবি করায় তা দেওয়া সম্ভব হয় না। আবার বাড়ির লোকজন রক্ত দিতে ভয়ে পিছিয়ে যান ফলে ঘাটতি থেকেই যায়।”
বহরমপুর ব্লাড ব্যাঙ্কের চিকিৎসক জয়ন্ত বিশ্বাস বলেন, “কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় রোগীর হিমোগ্লোবিন ভাল থাকা সত্ত্বেও রক্ত দেওয়ার ফরমায়েস আসে। হয়তো সেই রক্ত লাগতই না। সে সব রোগীর পরিবারকে বোঝানো মুশকিল হয়ে যায়। তাহলে রক্তের ঘাটতি মিটবে কি করে।”
তবে শুধু রক্তের জন্য রোগী রেফার করা হয়, তা মানতে নারাজ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার শর্মিলা মল্লিক। তিনি বলেন, “বিষয়টি না জেনে বলতে পারব না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy