Advertisement
০২ নভেম্বর ২০২৪
ভরতপুর-ব়ড়ঞা

মহার্ঘ বালি, দাম বাঁধবে প্রশাসন

নদি থেকে বালি তোলার জন্য রাজস্ব নেয় সরকার। তবে বালির জন্য সরকার কোনও দাম ঠিক করেনি। অভিযোগ, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বড়ঞা এবং ভরতপুর এলাকায় মাত্রাতিরিক্ত দামে বালি বিক্রি করছে ঘাটের ইজারাদাররা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কান্দি শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:২৫
Share: Save:

নদি থেকে বালি তোলার জন্য রাজস্ব নেয় সরকার। তবে বালির জন্য সরকার কোনও দাম ঠিক করেনি। অভিযোগ, সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বড়ঞা এবং ভরতপুর এলাকায় মাত্রাতিরিক্ত দামে বালি বিক্রি করছে ঘাটের ইজারাদাররা।

পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি ভুমি রাজস্ব দফতরে নালিশ ঠুকেছেন। ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ভূমি রাজস্ব আধিকারিকও।

ভরতপুর এবং বড়ঞা এলাকায় ময়ূরাক্ষী নদীর দু’টি ঘাট থেকে বালি তুলে বিক্রি করা হয়. ভূমি রাজস্ব দফতর এই দু’টি ঘাট নিলাম ডেকে ইজারা দেয়। বালি তুলে বিক্রির জন্য ইজারাদারদের রাজস্ব দিতে হয়।

ভরতপুরের তালগ্রাম ঘাটে ১০০ সিএফটি বালির জন্য ১৬৩ টাকা, এবং বড়ঞার তালবোনা বালি ঘাটে ১০০ সিএফটি বালির জন্য ২৩৯ টাকা রাজস্ব দিতে হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা এবং বালি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তালগ্রাম ঘাটে ১০০ সিএফটি বালির জন্য ৯০০-১৫০০টাকা দিতে হচ্ছে। তা না হলে বালি বিক্রি করছেন না ইজারাদাররা। তালবোনা ঘাট থেকে ১০০ সিএফটি বালি কিনতে হলে ৮০০-১০০০টাকা দিতে হচ্ছে। ট্রাক্টর বা লরি ভাড়া করে বাসিন্দাদের বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যেতে খরচ হচ্ছে ২৫০০-৩০০০ টাকা।

সালারের বাসিন্দা অসীমশঙ্কর সিংহ রায় বলেন, “গত বছর ১০০ সিএফটি বালি কিনেছি মাত্র ১২০০ টাকায়। কিন্তু এবার ওই একই বালি কিনতে হচ্ছে প্রায় সারে তিনহাজার টাকা দিয়ে।’’ তালগ্রাম বালি ঘাটের ইজারাদার আকবর আলি বলেন, “২.২২একর এলাকা পাঁচ বছরের জন্য ৪০লক্ষ্য টাকায় ইজারা পেয়েছি। সরকার থেকেই ১০০ সিএফটি বালির দাম ৯০০-১২০০ টাকা ঠিক করে দিয়েছে। সেই দামই নিচ্ছি।”

তালবোনা ঘাটের ইজারাদার জানান, সরকারকে রাজস্ব দিতে হয়। তবে সরকার বালির দাম ঠিক করে দেয় না। বালি তোলার যন্ত্রের ভাড়া, মজুরদের মজুরি মিটিয়ে সামান্য লাভ থাকে। ভরতপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূলের নূর আহম্মদ বলেন, “গত বছরের থেকে এবার দ্বিগুন দামে বালি কিনতে হচ্ছে। বিষয়টি ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিককে জানিয়েছি। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমরা আন্দোলনে নামব।”

ভরতপুর-২ ব্লকের ভূমি রাজস্ব দফতরের আধিকারিক প্রিয়ব্রত রাঢ়ী জানিয়েছেন, বালির বিক্রয়মূল্য তাঁরা ঠিক করেন না। অতিরিক্ত জেলা শাসক (ভূমি ও ভূমি রাজস্ব) বিভু গোয়েল বলেন, “বালির চড়া দাম নিয়ে আমিও অভিযোগ পেয়েছি। এই বিপুল দাম মেনে নেওয়া হবে না। আমরা বালির দাম বেঁধে দেওয়ার চেষ্টা করছি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Sand Rate
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE