রাজ্যের প্রায় সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই মাস পয়লা বেতন পেতে অভ্যস্থ শিক্ষাকর্মীরা।
ব্যতিক্রম শুধু শিশু ও মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রগুলি। এসএসকে ও এমএসকে-র সম্প্রসারক-সম্প্রসারিকা কিংবা সহায়ক-সহায়িকাদের সেই বেতন পেতে অনেক সময়েই যে মাস ঘুরে যায়— এ অভিযোগ উঠছে কিছু দিন ধরেই।
সেই অভিযোগের তালিকায় নয়া সংযোজন, জানুয়ারির বেতন এখনও পাননি দুই জেলা—নদিয়া ও মুর্শিদাবাদের শিশু ও মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের কয়েক হাজার কর্মী শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী। নদিয়ায় ১০৪টি এমএসকে রয়েছে। সেখানে ৫২৫ জন সম্প্রসারক-সম্প্রসারিকা কাজ করেন। ৫২০টিতে কর্মরত ১৩৮৮ জন সহায়ক-সহায়িকা।
রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের অধীনে শিশু শিক্ষা মিশনের মাধ্যমে ওই কর্মীদের বেতন দেওয়া হয়। মূলত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা ওই কেন্দ্রগুলিতে পড়ান। তার বিনিময়ে এসএসকের সহায়ক সহায়িকারা মাসে হাজার ছয়েক ও এমএসকের সম্প্রসারকেরা মাসে হাজার দশেক মাসিক ভাতা পান।
সহায়ক-সহায়িকা়দের দাবি, গত বছরের শেষ থেকেই শুরু হয়েছে সমস্যা। নভেম্বর মাসের ভাতা মিলেছিল ডিসেম্বরের ২৬ তারিখ। আর, ডিসেম্বরের ভাতা মেলে জানুয়ারির ১৭ তারিখ। আর জানিয়ারি মাসের ভাতা এখনও জোটেনি তাঁদের।
নদিয়া জেলা পরিষদ সূত্রে অবশ্য জানা যাচ্ছে, ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্য থেকে তাঁদের সাম্মানিক ভাতা এসেছে। পরের দিনই ব্যাঙ্কে টাকা পাঠানো হয়েছে। জেলা পরিষদের শিক্ষা বিষয়ক কর্মাধ্যক্ষ তারান্নুম সুলাতানার নির্বিকার জবাব, “এ মাসের সাম্মানিক ভাতা ব্যাঙ্কে পাঠানো হয়েছে তো। এখনও কেন পেলেন না দেখতে হবে।’’ ওয়েস্টবেঙ্গল তৃণমূল এমএসকে-এসএসকে টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি মিনহাজুদ্দিন শেখ বলছেন, “রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা মাস পয়লা বেতন পান। আমরাও যাতে মাসের প্রথম দিনেই ভাতা পাই, প্রশাসনকে সেই আবেদন করেছি।’’
অন্য দিকে, মুর্শিদাবাদেও শিশু ও মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের কর্মীরা জানুয়ারি মাসের ভাতা এখনও পাননি। জেলার ২০২টি এমএসকে কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে ৯০০ জন সম্প্রসারক রয়েছেন। ১৫৩০টি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে রয়েছেন পাঁচ হাজার সহায়ক ও সহায়িকা। কান্দির এসএসকে কর্মী পার্বতী দত্ত বলেন, “এই সামান্য বেতনের উপর গোটা সংসারটা দাঁড়িয়ে আছে। গত কয়েক মাস ধরে সে ভাতাও মিলছে না। কত দিন ধার করে চালাব বলুন তো!’’ মুর্শিদাবাদের জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আবু তাহের খানের কথায়, “রাজ্য জুড়ে উৎসব চলছে। অথচ শিক্ষকেরা বেতন পাচ্ছেন না। ভাবতে পারেন!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy