এক টাকার কয়েন নিয়ে গুজব রুখতে সপ্তাহের গোড়া থেকেই প্রচারে নামবে বলে আশ্বাস দিয়েছিল নদিয়া জেলা প্রশাসন।
কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল, সে সব কিছুই হল না। বরং দিনভর গুজব আর কয়েন ফিরিয়ে দেওয়াই চলল জেলা জুড়ে।
সোমবার দেখা গেল, কৃষ্ণনগর পুরসভার সুলভ শৌচাগারগুলি এক টাকার কয়েন না নিয়ে লোকজনকে ঘুরিয়ে দিচ্ছে। মরিয়া হয়ে অনেকে রাস্তাতেই কাজ সারছেন। কৃষ্ণনগরের বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু করে পোস্ট অফিস মোড়, বেজিখালিতে পুরসভার চারটি সুলভ শৌচাগারের ঠিকাদার তপন কুণ্ডু। তিনি বলেন, “ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে কেউই আমাদের কাছ থেকে এক টাকার কয়েন নিতে চাইছে না। প্রতি দিন প্রচুর কয়েন জমে যাচ্ছে। তাই আমরা বাধ্য হয়েই এক টাকার কয়েন নেওয়া বন্ধ করেছি।”
করিমপুরের ফার্মের মোড়ের চা বিক্রেতা বাবুয়া সাহা বলেন, “খুচরো বেচাকেনা মার খাচ্ছে। ব্যবসা চালাতে খরিদ্দারের কাছে আমরা এক টাকার কয়েন নিলেও মহাজনেরা সেই টাকা নিচ্ছেন না। এখন কী করব বুঝতে পারছিনা।” বেতাইয়ের বিড়ি বিক্রেতা হরেন মণ্ডলেরও একই অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, “বাড়িতে দু’জনে বিড়ি বেঁধে বাজারের দোকানে বিক্রি করি। সবার কাছে নেওয়া টাকার প্রায় ষাট হাজার টাকার কয়েন বাড়িতে জমে গিয়েছে।” ভিখিরিরাও এক টাকার কয়েন নিতে চাইছেন না। তাঁদের সোজা কথা, ভিক্ষা করে পাওয়া কয়েন নিয়ে দোকানে গেলে খাবার না দিয়ে দোকানি ফিরিয়ে দিচ্ছেন।
প্রশাসন কী করছে?
কৃষ্ণনগরে পুরপ্রধান অসীমকুমার সাহার দাবি, “শুধু ঠিকাদার নন, এক টাকার কয়েন ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে কেউ নিতে চাইছে না। ফলে ছোট ব্যবসায়ীদের কাছে প্রচুর টাকা জমে যাচ্ছে। পুরসভার কর আদায়ে এই ক’দিনে এক লক্ষ খুচরো টাকা জমে গিয়েছে।” তেহট্টের মহকুমাশাসক কার্তিক মণ্ডলের মতে, প্রচার তো করতেই হবে। তবে সেই সঙ্গে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ এগিয়ে এলে তবেই কাজ হবে। ব্যাঙ্কের আরও বেশি কয়েন জমা নেওয়া জরুরি।
জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, “কিছু জায়গায় ব্যাঙ্ক খুচরো টাকা নিচ্ছে না বলে শুনেছি। ব্যাঙ্কগুলি যাতে খুচরো জমা নেয়, তার জন্য লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে দিয়ে সব ব্যাঙ্কে চিঠি পাঠাচ্ছি। হেল্পলাইনও চালু করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy