হাঁসখালির পেট্রোল পাম্পে।
নির্দেশিকা এসে পৌঁছেছিল শনিবার দুপুরে। কিন্তু জরুরি কিছু নথি নিয়ে সমস্যা দেখা দেওয়ায় ব্যাঙ্ক থেকে টাকা মেলেনি।
এ দিকে পাম্পের সামনে টাকা পেতে ভিড় জমিয়েছেন গ্রাহকেরা। কিন্তু তাঁরা যাতে নিরাশ না হয়ে ফিরতে হয়, তার জন্য নিজেদেরই টাকা গ্রাহকদের বিলি করল কালীগঞ্জের এক পেট্রোল পাম্প। পাম্পের মালিক কিশলয় দত্ত জানান, শনিবার ৫০ জন গ্রাহককে এক হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।
স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার চেয়ারপার্সন অরুন্ধতী ভট্টাচার্যের সঙ্গে বৈঠকের পরে ইন্ডিয়ান ওয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম, হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম গ্রামীণ এলাকায় যেখানে ব্যাঙ্ক পরিষেবা নেই, সেখানে নির্দিষ্ট কিছু পাম্পে টাকা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছিল।
বছর তিনেক আগে ‘কিসান সেবা কেন্দ্রে’র মাধ্যমে এই পরিষেবা চালু হয়েছিল। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে নগদ জোগান বাড়াতে সেই ব্যবস্থাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা চলছে।
এই খবর ছড়িয়ে পড়তে জেলার কোনও কোনও পেট্রোল পাম্পে হাজির হন গ্রাহকেরা। করিমপুরের রামনগরের এক পেট্রোল পাম্পের মালিক অসিত বিশ্বাস জানান, শনিবার রাতে লিখিতভাবে নির্দেশ পান। ব্যাঙ্ক থেকে ৪০ হাজার টাকাও দেওয়া হয়। সাত জন গ্রাহক আসেন। তাঁদের এক হাজার করে টাকা দেওয়া হয়। মেশিনের সমস্যার জন্য দু’হাজার টাকা দেওয়া যায়নি।
করিমপুরের মহিষবাথানের পেট্রোল পাম্প মালিক তপনজ্যোতি ঘোষ জানান, এ দিন ব্যাঙ্কে থেকে টাকা পেয়েছেন। কিন্তু কার্ড সোয়াইপ যন্ত্রে সমস্যা থাকায় এ দিন টাকা বিলি করতে পারেননি। রবিবার টাকা বিলি করতে পারবেন বলে আশা তাঁর।
দেবগ্রামের হিজুলির পেট্রোল পাম্প মালিক মনোজ কর্মকার বলেন, “নির্দেশিকা পাওয়ার পর বিকালে ব্যাঙ্কে গিয়েছিলাম। সন্ধ্যায় হাতে টাকা পেয়েছি। ফলে টাকা দিতে পারিনি। রবিবার সকাল ১০টা থেকে টাকা দেওয়া হবে।”
তবে গ্রামীণ এলাকায় এমন সুবিধে মেলায় মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে পাম্পে ভিড় করতে দেখা যায়নি গ্রাহকদের। একই চিত্র ডোমকলেও। ডোমকলের এক পাম্প মালিক শাহিন আনসারি জানান, এখনও পর্যন্ত কোনও নির্দেশিকা পাননি। গ্রাহকদেরও ভিড় করতে দেখা যায়নি পাম্পগুলিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy