ধস্তাধস্তি: অবরোধকারীদের সরাচ্ছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
আপাতত জট কাটল রেল সেতুর। এক যুগ পর জমি পেল আজিমগঞ্জ-নসিপুর রেল সেতু। জমি বিক্রেতাদের অবরোধ হঠিয়ে সংযোগ রাস্তা তৈরির কাজ শুরু হল সোমবার।
বর্ধমানের বদলে নির্মীয়মাণ ওই সেতুর উপর দিয়ে চলতি বছর থেকে ‘দার্জিলিং মেল’ ছুটবে বলে কিছু দিন আগে ঘোযণা করেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার। ফলে দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু জমি বিক্রেতারা চাকরির দাবি তুলে রেললাইন পাতার কাজ করতে দেয়নি এতদিন। এ দিন লালবাগ মহকুমাশাসক তোপদেন লামা ও মহকুমা পুলিশ অফিসার তৌসিফ আলি আজহারের নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৪ জনকে গ্রেফতার করে অবরোধ সরিয়ে দেন।
পূর্বপাড়ে নশিপুর হল্ট ও পশ্চিমপাড়ে আজিমগঞ্জে জংশন। মধ্যবর্তী এলাকায় ভাগীরথীর উপর সেতু নির্মাণ করে রেলের শিয়ালদহ ও হাওড়া বিভাগের দুটি লাইনকে সংযুক্ত করার প্রকল্প নেওয়া হয়। ২০০৪ সেতুর শিলান্যাস হয়। সেতু নির্মাণের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। এ বার প্রয়োজন মুর্শিদাবাদ স্টেশন থেকে রেলসেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত এবং রেলসেতুর পশ্চিমপাড় থেকে আজিমগঞ্জ জংশন পর্যন্ত দু’টি লিঙ্ক রোড়।
পূর্বপাড়ের সিংহভাগ জমিদাতা চেক নিয়েছেন আগেই। তবুও তাঁদের দাবি, ‘‘চাকরির লিখিত প্রতিশ্রুতি না পেলে জমি ছাড়ব না।’’ তারপরই পূর্বপাড়ের বাকি থাকা আধ কিলোমিটার লিঙ্ক রোড নির্মাণে বাধা দেয় এখানের জমি বিক্রেতারা। তাঁদের দাবি, ‘‘ওপারের লোক চাকরি পেলে, এ পার কেন পাবে না। প্রশাসনিক কর্তারা তাঁদের বলেন, ‘‘ওপারের লোক চাকরি পেলে, আদালতে সেই প্রমাণ দাখিল করে আপনারাও চাকরির দাবি করবেন।’’ সেই কথায় কান না দিয়ে, জমির উপর তাঁরা বসে পড়েন। অবশেষে পুলিশ ১০ জন পুরুষ এবং ৪ জন মহিলাকে গ্রেফতার করে অবরোধ মুক্ত করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy