Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

ছাগলে মুড়িয়ে খেল গাছ, জলে টাকা

সম্প্রতি আনন্দবাজারের পাঠকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জীবানন্দ সাহা। স্থানীয় বাসিন্দাদের নানা দাবি-দাওয়া, প্রাপ্তি-প্রত্যাশার বিষয় উঠে এল আলোচনায়। সঞ্চালনায় ছিলেন কল্লোল প্রামাণিক। রইল বাছাই প্রশ্নোত্তর।সম্প্রতি আনন্দবাজারের পাঠকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জীবানন্দ সাহা। স্থানীয় বাসিন্দাদের নানা দাবি-দাওয়া, প্রাপ্তি-প্রত্যাশার বিষয় উঠে এল আলোচনায়। সঞ্চালনায় ছিলেন কল্লোল প্রামাণিক। রইল বাছাই প্রশ্নোত্তর।

দীর্ঘ অপেক্ষা পানীয় জলের জন্য। শিকারপুরে। — নিজস্ব চিত্র

দীর্ঘ অপেক্ষা পানীয় জলের জন্য। শিকারপুরে। — নিজস্ব চিত্র

শেষ আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০১৬ ০০:১৮
Share: Save:

• শিকারপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এমন বহু বৃদ্ধ মানুষ ও বিধবা মহিলা রয়েছেন, যাঁদের নাম বিপিএল তালিকায় থাকলেও কেউই বার্ধক্যভাতা বা বিধবাভাতা পান না। এঁদের অনেকের বয়স আশি পেরিয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত কী ভাবছে?

পম্পা মালাকার, বারুইপাড়া

প্রধান: বিপিএল তালিকায় নাম আছে এমন বিধবা মহিলা বা বৃদ্ধ ষাট বছর বয়স পেরোলেই আবেদন করতে পারেন। তারা সরকার প্রদত্ত এই ভাতা পাবেন। জেলার নিয়ম স্কোর ভিত্তিক তালিকা তৈরি করে ভাতা দেওয়া। এ ব্যাপারে জেলা থেকে ব্লকে ও ব্লক থেকে পঞ্চায়েতে সদ্য একটা তালিকা এসেছে। তাতে নতুন ৫৫ জনের নাম রয়েছে। আগামী দিনে সমীক্ষা অনুযায়ী বাকিদের নাম এলেই ভাতা দেওয়া হবে।

•পঞ্চায়েতে একশো দিনের কাজে অনেক সমস্যা আছে। প্রথমত, অনেকের পাকা বাড়ি, জমি থাকলেও পরিবারের ৪-৫ জন কাজ পেয়ে যাচ্ছেন। অথচ যাঁরা ভূমিহীন, দিনমজুর, তাঁরা বছরে ১০ দিনের বেশি কাজ পাচ্ছেন না।

মুজাম শেখ, নন্দলালপুর

পঞ্চায়েতের ২৩টি বুথের বিরাট এলাকা। কিছু বুথে এমন অভিযোগ আছে। সেই সব বুথের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পঞ্চায়েত। লিখিত অভিযোগ পেলেও খতিয়ে দেখা হবে।

•খাদ্য সুরক্ষার আওতায় অনেকেই দু’টাকা কেজি দামে চাল পাচ্ছে। অথচ পাওয়ার যোগ্য হয়েও এলাকার অনেকে সেই সুযোগ পাচ্ছেন না কার্ড সংক্রান্ত সমস্যার জন্য। সেই সুযোগ নিচ্ছেন কিছু রেশন ডিলাররা। এই ব্যাপারে পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপ চাই।

শিবজিৎ ঘোষ, দাঁড়েরমাঠ

এ বিষয়ে স্থানীয় রেশন ডিলার ও খাদ্য দফতরের আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। সম্প্রতি দু’জন রেশন ডিলারকে তলব করেছিল জেলা প্রশাসন। সমস্যার সমাধান না হলে আবারও জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানাবে পঞ্চায়েত।

কেচুয়াডাঙা থেকে মুক্তদহ যাওয়ার রাস্তায় এই কালভার্ট বহু দিন এ ভাবেই পড়ে রয়েছে।

•পঞ্চায়েতে ইন্দিরা আবাস যোজনায় ঘরের তালিকায় মোট ১৩০০ জনের নাম রয়েছে। অথচ শুধুমাত্র গান্ধিনা গ্রামেই প্রায় ৪৫০ পরিবার রয়েছে, যারা খুব দুঃস্থ ও এই সুযোগ পাওয়ার যোগ্য। তাঁদের জন্য পঞ্চায়েতের কি চিন্তাভাবনা?

রবীন্দ্রনাথ সরকার, গান্ধিনা

একটি সমীক্ষার পর ওই তালিকা তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েতের বৃহৎ এলাকায় এক সঙ্গে সকলের নাম তালিকায় নেওয়া সম্ভব হয়নি। গান্ধিনা ও কেচুয়াডাঙায় সমীক্ষার কাজ বাকি আছে। পরে বাদ পড়ে যাওয়া সমস্ত মানুষ (যাঁদের পাওয়া উচিত) আবাস যোজনার ঘর পাবেন।

• প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে পঞ্চায়েত বৃক্ষরোপণ করে। রাস্তার পাশে সাজিয়ে গুছিয়ে হইচই করে গাছ লাগানোর পর সেগুলোর কোনও যত্ন নেওয়া হয় না। স্বাভাবিক ভাবেই এত টাকা খরচ করে লাগানো একটা গাছও বাঁচে না। তা হলে এ ভাবে গাছ লাগানোর যুক্তি কী?

জামাল শেখ, শিকারপুর

এটা সরকারি প্রকল্প। বৃক্ষ রোপণের জন্য এ বছর ১৩টা স্কিম এসেছে। তার মধ্যে ৬টি স্কিমে গাছ লাগানো হয়েছে। লক্ষ লক্ষ নয়, প্রতি স্কিমের জন্য পঞ্চায়েত ২৬ হাজার টাকা পায়। গাছ লাগানোর ও যত্ন নেওয়ার জন্য পঞ্চায়েত কোনও গ্রুপকে দায়িত্ব দেয়। গাছ মারা গেলে তাদের সেই টাকা দেওয়া হয় না।

• পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন জায়গায় যেমন দত্তপাড়া, বেলডাঙাপাড়া, নন্দলালপুরে পানীয় জলের ভীষণ সমস্যা। জন স্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জল আশপাশের গ্রামে জল পৌঁছে দিলেও এই সব গ্রামের মানুষ জল পায় না। বাড়ির টিউবয়েলের অস্বাস্থ্যকর জল পান করেন অনেকেই। কেউ কেউ বহু দূর থেকে জল টেনে নিয়ে আসেন। শুধু নন্দলালপুরেরই ৪৫০টি পরিবার এই সমস্যায় ভুগছেন। পঞ্চায়েত কি তাঁদের জন্য কোনও ব্যবস্থা করবে?

সুখেন সরকার, কেচুয়াডাঙা

এ ব্যাপারে জন-স্বাস্থ্যকারিগরি দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা হয়েছে। যে এলাকায় জলের সংযোগ পৌঁছয়নি, তাদের নতুন করে সংযোগ দেওয়ার চিন্তা রয়েছে।

• এলাকার বিভিন্ন জায়গায় জল জমে বলে গত বছর পঞ্চায়েত একটা পাকা নিকাশিনালা তৈরি করেছিল। কিন্তু ওই নালা তৈরির পরের দিনই ভেঙে পড়েছে। বিষয়টি লিখিত ভাবে ও ছবি-সহ পঞ্চায়েত ও ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছি। তার ছ’মাস পরেও কেউ কোনও ব্যবস্থা নিল না। পঞ্চায়েত বহু টাকা খরচ করলেও, অনুন্নত কাজের জন্য সাধারণ মানুষের সমস্যার সমাধান হল না।

প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, কেচুয়াডাঙা

মানুষের সমস্যার সমাধানের জন্যই ওখানে ওই নিকাশিনালা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু সদ্য তৈরি নালাটি ভেঙে পড়ার খবর শুনে পঞ্চায়েতের বাস্তুকার সেখানে গিয়ে দেখেও এসেছেন। সেখানে নিম্নমানের কাজ হয়নি মোটেই। নালা তৈরির দিন বৃষ্টি হয়েছিল। প্রচুর বাজও পড়েছিল। সেই বজ্রপাতে এলাকার বহু বাড়ির দেওয়ালে ফাটল ধরে যায়। ওই নালাটিও হয়তো ভেঙে পড়েছিল সেই কারণেই। তবে ভবিষ্যতে নতুন ভাবে ওই নালা তৈরি করার চেষ্টা করা হবে।

• এলাকার পান ও সব্জি চাষিদের সুবিধার্থে পঞ্চায়েত থেকে পাঁচশো মিটার দূরে একটি হিমঘর তৈরি করা হয়েছে। বহু টাকা ব্যয়ে তৈরি ওই হিমঘর কয়েক মাস আগে জাঁকজমক করে উদ্বোধন করা হয়েছে। অথচ আজ অবধি ওই হিমঘরে কোনও পরিষেবা চালু হয়নি। চাষিরা আদৌ কী সুবিধা পাবে সেখানে, সেটাও পরিষ্কার নয়। পঞ্চায়েতের কাছে হিমঘর সম্পর্কে কী তথ্য রয়েছে?

জগন্নাথ মণ্ডল, ফুনকোতলা

জেলা পরিষদ হিমঘরটি তৈরি করেছে। সেখানে চাষিরা কী পরিষেবা পাবে, তা আমরাও জানি না। চাষিরা এলাকায় উৎপাদিত পান বা সব্জি কত দিন সেখানে রাখতে পারবেন, সে সম্পর্কে আমরাও অন্ধকারে রয়েছি।

• ডাক্তারখানা মোড় থেকে ফুনকোতলা, পড়াতলা থেকে কেচুয়াডাঙা কিংবা বারুইপাড়া, পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন রাস্তায় সন্ধ্যার পর অন্ধকার নেমে আসে। যাতায়াতে খুবই সমস্যা হয়, বিশেষ করে মেয়েদের। ওই সব রাস্তাগুলোতে কী রাতে আলোর ব্যবস্থা করবে পঞ্চায়েত?

মিতা প্রামাণিক, বারুইপাড়া

এটা খুব বড় সমস্যা। পঞ্চায়েতের অতিরিক্ত ফান্ড নেই। তথাপি আমরা আগামী দিনে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেশ কিছু রাস্তায় সন্ধ্যার পর আলোর ব্যবস্থা করব।

• কেচুয়াডাঙা বাজার থেকে মুক্তাদহ যাওয়ার পাকা রাস্তায় একটি কালভার্ট পড়তো। বহু দিন হল সেটা ভেঙে পড়েছে। মানুষ দিনরাত সেই রাস্তায় যাতায়াত করেন। একটা বাঁশের মাচা এখন একমাত্র ভরসা। যে কোনও সময় সেটা ভেঙে বড়সড় বিপদ ঘটতে পারে। পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন?

ইউনুস শেখ, কেচুয়াডাঙা

ভেঙে যাওয়া ওই কালভার্টের বদলে একটি নতুন কালভার্ট তৈরি করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই একটু সময় লাগল। ওই কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। খুব শীঘ্র কাজ শুরু হবে।

• বেলডাঙাপাড়া গ্রামের একমাত্র প্রাইমারি স্কুল চলাকালীন স্কুলের মধ্যে গরু, ছাগল চরে বেড়ায়। বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ক্ষতি হয়। বর্ষাকালে স্কুল চত্বর জলে ডুবে যায়। মাটি তুলে উঁচু করা দরকার স্কুলের সামনেটা। পাশাপাশি একটি পাঁচিল দিলে গরু-ছাগল ঢোকা আটকানো যায়।

সনৎ বিশ্বাস, বেলডাঙাপাড়া

স্কুলের পাঁচিল তৈরির জন্য স্কুলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে ভাল হতো। পঞ্চায়েতের আর্থিক সমস্যা রয়েছে। একশো দিনের কাজে মাটি তুলে দেওয়া হবে। আর পাঁচিলের জন্য ব্লক প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে।

• সীমান্ত ঘেঁষা গান্ধিনা গ্রামের একশো শতাংশ মানুষ কৃষিজীবী। তাঁদের প্রায় সকলের জমি রয়েছে কাঁটাতারের ওপারে। প্রতিদিন কাজে যেতে হয় সীমান্তের গেট পেরিয়ে। স্থানীয় ১০৭, ১০৮ ও ১০৯ নম্বর গেটের মধ্যে ১০৮ নম্বর গেট বন্ধ করে দিয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সমস্যায় পড়েছে চাষিরা। দীর্ঘ রাস্তা ঘুরে যেতে ও আসতে অনেক বেশি সময় লাগছে। পঞ্চায়েত ব্যবস্থা নিলে সকলে চাষি উপকৃত হবে।

আক্কাস মণ্ডল, গান্ধিনা

সীমান্তের এই সমস্যা নতুন নয়। এক দিকে দেশের নিরাপত্তার কথা ভেবেই বিএসএফ কিছু বিধিনিষেধ তৈরি করেন। আবার চাষিদের সমস্যা প্রশাসনকে ভাবতে হবে। এ ব্যাপারে পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে স্থানীয় বিধায়ক, বিডিও ও জেলাশাসককে জানাব। তাঁরা বিএসএফের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন।

• শিকারপুরের মাথাভাঙা নদীর সঙ্গে একটি খালের যোগাযোগ আছে। আগে বর্ষাকালে প্রচুর জল থাকলেও সেই খাল এখন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বর্ষাকালে জলের অভাবে চাষিরা মাঠের পাট জাঁক দিতে পারেন না। পঞ্চায়েত ওই খালের সংস্কার করলে এলাকার চাষিদের সুবিধা হবে।

প্রভাত দাস, শিকারপুর

এ নিয়ে পঞ্চায়েত চিন্তাভাবনা করছে। এ বিষয়ে কিছুদিন আগে জেলা শাসকের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনাও হয়েছে। একশো দিনের প্রকল্পে ওই খালের মাটি কাটলে অনেক জল ওখানে ধরে রাখা যাবে। সুবিধা পাবে সকলে। জেলা প্রশাসনের সবুজ সঙ্কেত পেলেই আগামীতে ওই কাজ শুরু করবে পঞ্চায়েত।

উদ্বোধনের পরেও চালু হল না হিমঘর।

• পঞ্চায়েতের মোট ১১ টি গ্রামের মধ্যে সব চেয়ে বড় গ্রাম গান্ধিনা। গ্রামের রাস্তাঘাট খুব খারাপ। বর্ষাকালে এখন এক হাঁটু কাঁদার মধ্যে যেতে হয় মানুষকে। পঞ্চায়েত ওই গ্রামের রাস্তা তৈরিতে কতটা সচেষ্ট?

তাপস ঘোষ, বারুইপাড়া

ওই গ্রামের প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। বছরে রাস্তা তৈরির জন্য যে পরিমাণ টাকা পঞ্চায়েতের কাছে আসে, তা গ্রাম-প্রতি হিসেব করলে দেড় থেকে দু’লক্ষ টাকার বেশি নয়। সেই জন্য ওই গ্রামে সব রাস্তার কাজ করতে সময় লাগছে। এর আগে কিছু হয়েছে। আগামীতেও বেশ কিছু রাস্তা তৈরি করা হবে।

• চাঁড়ালখালিতে একটি অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রের ও নন্দলালপুরের একটি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের পাশেই রয়েছে বড় জলাশয়। দুটি জায়গায় বর্ষাকালে খুব বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। যে কোন সময় বাচ্চারা দুর্ঘটনায় পড়তে পারে। পঞ্চায়েত থেকে যদি কোন পাঁচিল তৈরি করে দেওয়া হয়।

দেবাশিস বিশ্বাস, চাঁড়ালখালি

জায়গা দু’টি পঞ্চায়েতের বাস্তুকার বিষয়টি দেখবে। যদি পঞ্চায়েতের সীমিত খরচে তৈরি করা যায়, তবে পরের প্ল্যানে ওই পাঁচিল তৈরির চেষ্টা করবে। বেশি টাকার বাজেট হলে ওই দেওয়াল তৈরির জন্য আমরা ব্লক প্রশাসনকে জানাবো।

• মেয়ের বয়স পনেরো পেরিয়ে গেলেও তার রেশন কার্ড হয়নি। বহুদিন আগে পঞ্চায়েতে আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু তা আজও পায়নি।

রেবা সাহা, কেচুয়াডাঙা

পঞ্চায়েতের আবেদন ব্লক খাদ্য দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। রেশন কার্ড তারাই দেয়। এখন কিছু দিন কাজ বন্ধ রয়েছে। অনেকেই রেশন কার্ড পাননি। পুজোর ছুটি শেষ হলে আমরা ব্লক খাদ্য অফিসে জানাব।

• শিকারপুরে কয়েকটি জায়গায় নিকাশিব্যবস্থা খারাপ। নিকাশি নালা তৈরির ব্যাপারে পঞ্চায়েত কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না কেন?

ইমরান মণ্ডল, দাঁড়েরমাঠ

আমাদের পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ এলাকায় বৃষ্টির জল বের হয়ে যায়। তেমন জল কথাও জমে না। তবে হাতে গোনা কয়েকটি এলাকায় এখন জল জমছে। সেই সমস্ত এলাকার সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে নিকাশি নালা তৈরি করা হবে।

• এলাকার অনেকের এখনও আঁধার কার্ড হয়নি। স্কুলের মেয়েদের কন্যাশ্রী প্রকল্প কিংবা ব্যাঙ্ক, ডাকঘর, গ্যাস অফিসের কাজে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। পঞ্চায়েত কি আঁধার কার্ডের ব্যবস্থা করবে না?

মিনতি সরকার, শিকারপুর

ব্লক প্রশাসন জানিয়েছে, যে সংস্থা আঁধার কার্ড সরবরাহ করত, সরকারের সঙ্গে তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই এখন নতুন করে আঁধার কার্ড তৈরির কাজ বন্ধ রয়েছে। পরে আঁধার কার্ড তৈরি শুরু হলে সকলকে জানানো হবে।

• এমন অনেক গরিব মহিলা রয়েছেন, যাঁরা আয় করেন না। তাঁদের জন্য পঞ্চায়েত কিছু করতে পারে?

কাকলি সরকার, শিকারপুর

গরিব মহিলাদের জন্য রাজ্য সরকারের অনেক প্রকল্প রয়েছে। এলাকায় অনেক গরিব মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করেছেন। পোলট্রি ফার্ম, সেলাই শেখার পর ব্লক প্রকল্প আধিকারিক ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঋণ দিচ্ছেন। ঋনের পরিমাণ ২৫ হাজার থেকে সর্বাধিক দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত।

অন্য বিষয়গুলি:

Dwellers problems Nadia
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy