সেই হাসপাতাল। নিজস্ব চিত্র
মাসকয়েক আগেও ওই ছবি দেখা যেত। একজন চিকিৎসক টেবিলের সামনে মুখ নিচু করে বসে। আউটডোরে রোগীর এতই ভিড় যে মাথা তোলারও উপায় নেই। সমস্যা শুনে কাগজে খসকস করে ওষুধ লিখে দিলেন ডাক্তারবাবু। এক জন চিকিৎসক রোগীর ভিড় সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতেন। আউটডোর দুপুর পর্যন্ত চলার কথা। কিন্তু তা শেষ হতে হতে গড়িয়ে যেত বিকেল। ভগবানগোলা-১ ব্লকের কানাপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালের সেই চেনা চিত্রই বদলে গিয়েছে। করোনা নিয়ে ভয় এবং লকডাউনের জেরে হাসপাতালে এখন একজনের বদলে দু’জন চিকিৎসক বসছেন।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, খাতায়-কলমে ওই হাসপাতালে দু’জন চিকিৎসক রয়েছেন। কিন্তু অধিকাংশ সময়েই একজন চিকিৎসকই আউটডোরে রোগী দেখতেন। আউটডোরে লম্বা লাইন দেখে অনেকেই ফিরে গিয়ে গ্রামীণ চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হতেন। এ নিয়ে রোগীদের একাংশের ক্ষোভও ছিল। তবে করোনা-আবহে আর লকডাউনের সময় বদলে গিয়েছে কানাপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালের আউটডোরের চিত্র। এখন একজন নয়, দু'জন চিকিৎসক বসেছেন। আউটডোরে লম্বা লাইনও পড়ছে না রোগীদের। আউটডোরের এক পাশে আলাদা করে খোলা হয়েছে ফিভার ক্লিনিকও। সেখানে জ্বর, সর্দি-কাশির উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের আলাদাভাবে চিকিৎসা করা হচ্ছে। যদিও ফিভার ক্লিনিকে রোগীর আনাগোনা বিশেষ নেই বলেই খবর। কিন্তু কেন? হাসপাতালের ডাক্তারদের দাবি, আতঙ্কেই কেউ ক্লিনিকে আসতে চাইছে না। অনেকেরই আশঙ্কা, হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে সংক্রমণের শিকার হবেন। ভগবানগোলা-১ ব্লকের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভঙ্কর বিশ্বাস বলছেন, ‘‘এটা ঠিকই যে আতঙ্কেই ফিভার ক্লিনিকে রোগীরা কম আসছে। আমরা সকলকে সচেতন করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy