সাহায্যে এগিয়ে এলেন তিন সিভিক ভলান্টিয়ার। নিজস্ব চিত্র
সারা দিন ধরে নানা রকমের কাজে জড়িয়ে থাকেন সিভিক ভলেন্টিয়াররা। মাইনে কম। শমসেরগঞ্জ থানার এমন তিন সিভিক ভলান্টিয়ার নিজেদের কাজের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়ালেন।
তিন জনের নাম সিরাজুল ইসলাম, আনিকুল আলম ও রফিক খান। শুক্রবার শমসেরগঞ্জের ভাঙন কবলিত শিবপুর, ধানঘরা, ধুসরিপাড়ার অসহায় পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে বাসুদেবপুর হাইস্কুলে একটি অনুষ্ঠান করে ১৭০টি পরিবারের হাতে চাল, আলু, বিস্কুট, সাবান, তেলের পাশাপাশি আনাজ, ও একটি করে মাস্ক তুলে দেন তাঁরা। তিন সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁদের সহকর্মীদের ও কিছু সহৃদয় মানুষের সহযোগিতায় ভাঙন কবলিত মানুষের পাশে দাঁড়ালেন। সিভিকদের অভিনব এই উদ্যোগের প্রশংসা করে তাঁদের কর্মসূচিতে সামিল হন শমসেরগঞ্জ থানার ওসি অমিত ভকত, যুগ্ম বিডিও আবু তোয়েব মণ্ডল, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিজাউর রহমান সহ অন্য বিশিষ্টজনেরা।
সিভিক ভলান্টিয়াররা জানান, চোখের সামনে দেখেছেন মানুষের ঘর ভাঙার যন্ত্রণা। তাদের সম্বল নেই, এই পিড়িত মানুষদের কিছু দেওয়ার। তবু্ও দিয়েছে। ভেঙে পড়া ঘর থেকে যতটুকু আসবাবপত্র বের করা যায় তার সহযোগিতা করা। ভেঙে পড়া বাড়ি দেখে তাঁদের চোখেও এসেছিল জল। তাই আজ এই তিন সিভিক ভলান্টিয়ার সিরাজুল বলেন, ‘‘ভাঙনের সময় তাদের কাছ থেকে দেখছি, শেষ সম্বলটুকু গঙ্গার জলে তলিয়ে যাচ্ছে তার যন্ত্রণা।’’ রফিক বলেন, ‘‘তাঁদের যন্ত্রণায় আমরাও সেদিন ব্যাথিত হয়েছিলাম। গঙ্গা ভাঙন আপাতত থামলেও বৃষ্টি চলছে। এদের থাকার যায়গা নেই, খাদ্য নেই।’’ আনিকুলের কথায়, ‘‘থাকার জায়গা দেওয়ার ক্ষমতা নেই। তাই আমাদের সহকর্মী ও কিছু মানুষের সহযোগিতা নিয়ে ১৭০ জন পরিবারের হাতে চাল, ডাল, আলু সহ আনাজ, মাস্ক তুলে দিলাম।’’
এলাকার সেতারা বেওয়া, রফিকুল ইসলাম, কাকলি মন্ডল, ঝর্ণা মন্ডলরা জানান, সিভিকরা পাশে দাঁড়ানোয় তাঁরা অনেকটা বল পেয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy