আবু তাহের। — ফাইল চিত্র।
খোলাখুলি সামনে না এলেও করিমপুরে যে তৃণমূলের অন্দরে ক্ষমতার লড়াই ও গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের চোরাস্রোত বইছে তা দলীয় নেতা-কর্মীদের অনেকেই আড়ালে স্বীকার করেন। তাই সম্প্রতি কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে করিমপুর নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তার পর ওই এলাকায় দলের গোষ্ঠী বিভাজন কী ভাবে নির্মূল হবে এবং সেই কাজে মুর্শিদাবাদ লোকসভার (যার অন্তর্গত করিমপুর) সাংসদ আবু তাহের কোন ভূমিকা নেবেন, তা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন ও সংশয় রয়েছে।
যদিও আবু তাহের নিজে বলছেন, ‘‘নেত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পরই করিমপুর এলাকায় সংগঠনে ঐক্য ফেরানোর বার্তা দিয়েছি। আমি জানিয়ে দিয়েছি, দলের মধ্যে কোনও বিভাজন বরদাস্ত করা হবে না।’’
নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে করিমপুর সামলানোর ভার সাংসদ আবু তাহের খানকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকাশ্যে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘‘করিমপুর এখন থেকে আবু তাহের দেখবে। ওটা ওর এলাকা।’’ মহুয়াকে তিনি নিজের এলাকায় মনোনিবেশ করতে বলেন।
এর পরেই করিমপুরের বাসিন্দাদের উদ্দেশে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট করেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। সেখানে তিনি আগামী দিনে করিমপুর বিধানসভায় নানা কাজের জন্য আবু তাহের খানের সঙ্গে সকলকে যোগাযোগ করতে যেমন বলেন, তেমনই করিমপুরে কী-কী কাজ করেছেন সেই বিষয়েও উল্লেখ করেন। তিনি সেখানে আরও জানান যে, করিমপুরের সাধারণ ভোটার বা পূর্বতন বিধায়ক হিসেবে প্রত্যেক করিমপুরবাসীর সঙ্গে তাঁর নাড়ির টান ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এতে দলের অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠেছে, করিমপুর নিয়ে ক্ষমতার টানাপড়েন কি আদৌ মমতার বার্তা সত্ত্বেও থামবে? নাকি ভিতরে-ভিতরে চলতেই থাকবে?
সরাসরি এই বিতর্কের মধ্যে না ঢুকে আবু তাহের বলেন, ‘‘সোমবারেই করিমপুর ১ ও ২ ব্লকে আলাদা ভাবে বৈঠক ডেকেছিলাম। সেখানে বিধায়ক, বর্তমান দুই ব্লকের সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতি, পঞ্চায়েত প্রধান, জেলা পরিষদ সদস্য থেকে শুরু করে প্রাক্তন ব্লক সভাপতিদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। উন্নয়নমূলক আলোচনার পাশাপাশি সংগঠনের হাল ফেরানোর বিষয়ে আলোচনা করার কথা ছিল। কিন্তু কলকাতায় জরুরি বৈঠক থাকায় সেই বৈঠক আপাতত বাতিল করতে হয়েছে। দুই-এক দিনের মধ্যেই আবার নতুন দিন ঠিক করে আলোচনা করা হবে।’’
সাংসদ হিসেবে তাঁকে কাছে পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ রয়েছে এলাকায়। সে সম্পর্কে আবু তাহেরের মন্তব্য, ‘‘আমার সাংসদ এলাকার সাতটি বিধানসভায় আমাকে ঘুরতে হয়। সব দিক সামলে আবার আমাকে দিল্লিতে অধিবেশনেও যেতে হয়। যদিও আমি করিমপুরে মাঝেমাঝেই যাই, সময় ও সুযোগের অভাবে হয়তো সকলের সঙ্গে তেমন ভাবে যোগাযোগ হয়ে ওঠে না। তবে শুধুমাত্র মানুষের কথা শোনার জন্য এ বার থেকে মাসে নির্দিষ্ট দু’টি দিন আগে থেকে ঘোষণা করে রাখবো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy