Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Quarrel broke out among teachers

অব্যবস্থা নিয়ে স্কুলে বিক্ষোভ, দ্বন্দ্ব শিক্ষকদের

সোমবার তেহট্ট ১ ব্লকের তেহট্ট ২ চক্রের আরশিগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে সেখানে ৪২ জন পড়ুয়া রয়েছে, শিক্ষক দু’জন।

সকলের সামনেই দুই শিক্ষকের একে অপরকে দোষারোপ।

সকলের সামনেই দুই শিক্ষকের একে অপরকে দোষারোপ। ছবি: সাগর হালদার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
তেহট্ট শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৪৯
Share: Save:

নানা অভিযোগ তুলে স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকদের একাংশ। খবর পেয়ে তেহট্ট থানার পুলিশ এবং স্কুল পরিদর্শক দফতরের কর্মকর্তা গেলে সকলের সামনে স্কুলের দুই শিক্ষকের মধ্যে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। স্কুলে পঠনপাঠনের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

সোমবার তেহট্ট ১ ব্লকের তেহট্ট ২ চক্রের আরশিগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটনাটি ঘটে। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে সেখানে ৪২ জন পড়ুয়া রয়েছে, শিক্ষক দু’জন। দায়িত্বে আছেন সীমা হালদার, আর এক জন সহকারী শিক্ষক গৌর রায়। এ দিন তাঁরা স্কুলে আসার পর এলাকার অভিভাবকেরা নানান অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, মিড-ডে মিল ঠিক ভাবে রান্না হয় না। শিশুদের রোজ এক খাবার দেওয়া হয়। স্কুলের শৌচাগার ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না পড়ুয়াদের।

অভিভাবকদের আরও অভিযোগ, স্কুলে কম পড়ুয়া এলেও মিড-ডে মিলের হিসাবে সবাইকে উপস্থিত দেখানো হয়। দোতলা স্কুলবাড়িঠিক ভাবে পরিষ্কার করা হয় না‌। সিঁড়ি নোংরায় ভর্তি। যেখানে শিশুদের খাওয়ানো হয় সেই জায়গাও অপরিষ্কার।

অভিভাবকদের মধ্যে ঊষালতা হালদার, বাবু হালদারেরা বলেন ,“স্কুলে শিশুরা আসে, কিন্তু স্কুল পরিষ্কার রাখার বিষয়ে কোনও ভূমিকায় নেই কর্তৃপক্ষের। মিড-ডে মিল নিয়েও একাধিক গোলমাল আছে। শিশুদের স্কুলের শৌচাগার পর্যন্ত ব্যবহার করতে দেওয়া হয় না।” গ্রামের বহু মানুষ স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে যান।

প্রথমে তেহট্ট থানার পুলিশ, তার কিছুক্ষণের মধ্যে তেহট্ট ২ চক্রের স্কুল পরিদর্শক অফিসের কর্তা সেখানে চলে আসেন। তাঁদের সামনেই দুই শিক্ষক সকলের সামনে একে অপরের বিরুদ্ধে কথা বলতে থাকেন। এর পর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সাধারণ মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, দুই শিক্ষকের মনোমালিন্যের কারণেও অনেক সমস্যা হচ্ছে। এ সব দেখে ছোটরা কী শিখবে, সেই প্রশ্নও তাঁরা তুলেছেন।

স্কুলের শিক্ষক গৌর রায়ের দাবি, “পারিবারিক সমস্যার কারণে আমি অনেক ক’দিন ছুটি নিয়েছিলাম, তার পর থেকে উনি (দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকা সীমা হালদার) ঠিক ভাবে কথা বলতেন না। বারবার বলা হলেও মিড-ডে মিলে রান্না শুধু সয়াবিন হত। এমনকি মিড-ডে মিলের হিসাবে গোলমাল করতেন উনি।” শিক্ষিকা সীমা হালদার পাল্টা বলেন, “ঠিক ভাবেই স্কুল চালানোর চেষ্টা করি। কিন্তু আর এক জন শিক্ষক বিভিন্ন ভাবে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেন। স্কুলে আসার পর উনি আমার সঙ্গে বিভিন্ন শর্তের কথা বললেও তা মেনে নিইনি। এই কারণে আমার বিরুদ্ধে উল্টোপাল্টা রটানোর চেষ্টা শুরু করেছেন। মিড-ডে মিলের দায়িত্ব ওঁকেই নিতে বলেছিলাম, কিন্তু উনি তা নেননি।”

তেহট্ট ২ চক্রের স্কুল পরিদর্শক অফিসের কর্মী শ্যামলকুমার বিশ্বাস বলেন, “দু’জনকেই তাঁদের বক্তব্য লিখিত ভাবে অফিসে জানাতে বলা হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন।”

অন্য বিষয়গুলি:

Tehatta
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy