শিকেয় দূরত্ব বিধি। বালাই নেই মাস্কেরও। পুজোর বাজার করতে ভিড়। শুক্রবার রানাঘাটে। ছবি: প্রণব দেবনাথ
পুজো যত এগিয়ে আসছে, ততই বেপরোয়া হয়ে উঠছে ভিড়। কল্যাণী থেকে তেহট্ট, এর কোনও ব্যতিক্রম নেই। আজ এবং কাল, পুজোর আগে শেষ সপ্তাহান্তে সেই ভিড় এবং তার জেরে করোনা সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছে সব মহলই। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে, কিন্তু মাঠে নেমে সুরক্ষা বিধি বলবৎ করার কোনও চেষ্টা কার্যত নেই। আপাতত জনতার শুভবুদ্ধির উপরেই জোর দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশের আশ্বাস, বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বাজার এলাকায় মাইকে প্রচার চালানো হচ্ছে। যদিও তা কারও কানে ঢুকছে কি না, সন্দেহ আছে। ব্যবসায়ীদের সদিচ্ছার হয়তো অভাব নেই, কিন্তু বেশি কড়াকড়ি করতে গেলে যদি ব্যবসা মার খায়, সেই পথে যেতেও তাঁরা রাজি নন। নদিয়া ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্সের যুগ্ম সম্পাদক গোকুল সাহা শুক্রবার বলেন, “ইদ ও নববর্ষের বাজারে মার খেয়েছেন ব্যবসায়ীরা। স্ত্রীর গয়না বন্ধক দিয়ে, চড়া সুদে টাকা ধার করে তাঁরা পসরা নিয়ে বসেছেন। কাউকে ব্যবসা বন্ধ রাখতে বলা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা সদস্যদের অনুরোধ করেছি, তাঁরা যেন নিজেদের প্রয়োজনেই সুরক্ষা বিধি মেনে চলেন।”
পুলিশ কেন বড় ব্যবসাকেন্দ্রগুলিতে দিনভর নজরদারি চালাচ্ছে না? কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার জাফর আজমল কিদোয়াইয়ের দাবি, “আমরা সচেতনতার উপরে জোর দিচ্ছি। প্রচার আরও বাড়ানো হচ্ছে।” কার্যত একই কথা জানিয়ে রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার ভিএসআর অনন্তনাগ বলেন, “নিয়ম না মানলে কড়া ব্যবস্থা নিতেই হবে।” জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, “আমরা বারবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলছি। নিয়ম সবাইকে মানতেই হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy