Advertisement
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

পদোন্নতি চেয়ে রেজিস্ট্রার ঘেরাও

এ দিন শিক্ষকেরা প্রথমে রেজিস্ট্রারের ঘরের সামনে জড়ো হন। পরে তাঁরা রেজিস্ট্রারের অফিসে ঢোকেন। তারপর থেকে এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ঘরেই শিক্ষকেরা অবস্থানে বসেন। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সঙ্গে পুজোর ছুটির আগে থেকেই কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্ব চলছিল।

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়

কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়

নিজস্ব সংবাদদাতা 
শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৯ ০২:৪২
Share: Save:

পুজোর ছুটির পর ফের শিক্ষকদের বিক্ষোভ শুরু হল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে। বুধবার দুপুর থেকে জনা তিরিশেক শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দেবাংশু রায়কে ঘেরাও করে রাখেন। শেষ পর্যন্ত তাঁদের দাবি মানার আশ্বাস দিয়ে সন্ধ্যার পর ঘেরাওমুক্ত হন রেজিস্ট্রার।

এ দিন শিক্ষকেরা প্রথমে রেজিস্ট্রারের ঘরের সামনে জড়ো হন। পরে তাঁরা রেজিস্ট্রারের অফিসে ঢোকেন। তারপর থেকে এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই ঘরেই শিক্ষকেরা অবস্থানে বসেন। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সঙ্গে পুজোর ছুটির আগে থেকেই কর্তৃপক্ষের দ্বন্দ্ব চলছিল। পুজোর ছুটির পর রেজিস্ট্রারের ঘরে অবস্থানের মাধ্যমে সেই দ্বন্দ্ব পুনরায় শুরু হল বলে শিক্ষকেরা জানাচ্ছেন। পাশাপাশি তাঁদের বক্তব্য, এ দিন রেজিস্ট্রার লিখিতভাবে জানিয়েছেন যে, তাঁদের দাবি বিবেচনা করা হবে।’’

শিক্ষক সমিতির তরফে জানানো হয়েছে, ছুটির আগে একাধিক দাবির কথা কর্তৃপক্ষের সামনে তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু টালবাহানা করে কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে দেরি করে চলেছেন বলে অভিযোগ। ফলে বাধ্য হয়ে এ দিন অবস্থানে বসেছেন শিক্ষকেরা। অবস্থানরত এক শিক্ষক বলেন, ‘‘এ দিনের আন্দোলনের মূল কারণ হল শিক্ষকদের পদোন্নতির ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের অনীহা। অগস্ট-সেপ্টেম্বর মাস নাগাদ একাধিক শিক্ষকের পদন্নোতির জন্য ইন্টারভিউ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁরা পদন্নোতির চিঠি পাননি। অথচ হিসেব করলে দেখা যায়, এতটা সময় লাগার কোনও কথা নয়।’’ অনেকেই পদোন্নতির ইন্টারভিউ-এর জন্য আবেদন করে রেখেছেন প্রায় এক বছর আগে। সে সব নিয়েও কর্তৃপক্ষের কোনও হেলদোল নেই বলে অভিযোগ শিক্ষকদের একাংশের।

শিক্ষক সমিতির যুগ্ম সম্পাদক প্রবীর প্রামাণিক বলেন, ‘‘যে কাজ করতে মিনিট পাঁচেক সময় লাগে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে কাজ করতে মাসের পর মাস কাটিয়ে দিচ্ছে। আর শিক্ষকদের পদোন্নতি হলে তাঁরা বেশি সংখ্যক পড়ুয়াকে গবেষণা করাতে পারবেন।’’ গবেষকদের কোর্স ওয়ার্ক শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালের মাঝামাঝি নাগাদ। কিন্তু বছর দেড়েক পেরিয়ে গেলেও তার ফল বার হয়নি। অথচ ছ’মাসের মধ্যে পরীক্ষা ও ফলপ্রকাশ হয়ে যাওয়ার কথা। এ রকম দশ দফা দাবিতে অবস্থান চলছে বলে শিক্ষকেরা জানান। তাঁদের বক্তব্য, এ বার যদি দাবি মানা না হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন তাঁরা। রেজিস্ট্রার ও উপাচার্য শঙ্করকুমার ঘোষকে ফোন করা হলেও তাঁরা ফোন ধরেননি। ফলে তাঁদের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

অন্য বিষয়গুলি:

Kalyani University PROTEST
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy