বাদ গেল লক্ষাধিক নাম। প্রতীকী চিত্র।
নদিয়ায় আবাস প্লাসের তালিকা থেকে প্রায় ১ লক্ষ ২৮ হাজার নাম বাদ গিয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের নির্দেশে গোটা ডিসেম্বর মাস জুড়ে নতুন যে সমীক্ষা করা হয়েছিল সেখানে সেখানে ব্যাপক বেনিয়ম ধরা পড়ে। জেলার প্রতিটি ব্লক থেকে হাজার-হাজার উপভোক্তার নাম বাদ গিয়েছে। তার আগেই অবশ্য নানা কারণে ‘সিস্টেম’ থেকে বাদ গিয়েছে প্রায় ৩২ হাজার নাম।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকা থেকে ২৫ হাজার ৭৬৫ জনের নাম বাদ গিয়েছিল। সেই তালিকা বার হওয়ার পর অনেক যোগ্য ব্যক্তির নাম না থাকা বা নাম বাদ যাওয়ার অভিযোগ ওঠে। ২০১৬ সালে ব্লক পর্যায়ে নতুন সমীক্ষা করে নামের তৈলিকা তৈরি হতে থাকে। এমনকি গ্রাম সংসদের মাধ্যমেও উপভোক্তাদের নামের সুপারিশ আসতে থাকে। ২০১৮ সালে নতুন তালিকা তৈরি হয়। তার নাম দেওয়া হয় ‘আবাস প্লাস’। নদিয়ায় সেই তালিকায় ২ লক্ষ ৯৮ হাজার ২৫৬ জনের নাম ছিল। তার প্রায় অর্ধেক বাদ গিয়েছ।
বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলার মিডিয়া আহ্বায়ক সন্দীপ মজুমদারের দাবি, “নরেন্দ্র মোদীর সরকার যদি নতুন করে সমীক্ষা না করাত তা হলে প্রায় সাড়ে ৯৫ হাজার অযোগ্য ব্যক্তি ঘরের টাকা পেয়ে যেত। যার বেশির ভাগটাই তৃণমূলের লোকজন।” নদিয়া জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র দেবাশিস রায়ের পাল্টা দাবি, “এই রাজ্যের কর্মীরাই অযোগ্যদের নাম বাদ দিয়েছেন। সেটা মুখ্যমন্ত্রীর আন্তরিক সদিচ্ছার কারণেই সম্ভব হয়েছে। আমাদের সরকার কোনও বেনিয়মকে প্রশ্রয় দেয় না।”
আবাস প্লাসের প্রথম দফা অর্থাৎ ২০২২-২৩ সালের জন্য নদিয়ার যা ‘কোটা’ বা তাতে এখনও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হতে হাজার দুয়েকের কিছু কম নাম বাকি রয়েছে। জেলা প্রশাসনের দাবি, তালিকায় নাম থাকা কিছু উপভোক্তা অন্য দেশে বা রাজ্যে কাজ করেন। তাঁরা কর্মস্থলে থাকায় তাঁদের থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। অনেকে যে জমিতে বসবাস করেন তার সঠিক কাগজপত্র দিতে পারেননি। কেউ আবার সরকারি জমিতে বাস করেন। জমির বিষয়টি সুনিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের নাম ‘রেজিস্ট্রেশন’ বা নথিভুক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy