মাস কয়েক আগে জুনিয়র ডাক্তার পিটিয়ে শ্রীঘরে যেতে হয়েছিল এক ছেলে। আয়াদের কাছ থেকে তোলা নেওয়ার অভিযোগে জড়িয়েছে তাঁর বাবা, কল্যাণী পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অমর রায়ও।
শনিবার ফের কল্যাণী জেএনএম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এক পুরুষ আয়াকে (মেল অ্যাটেন্ড্যান্ট) বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল অমর রায়ের চার ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এক আয়ার শ্লীলতাহানিও করা হয়েছে। অমরবাবুর চার ছেলের বিরুদ্ধে কল্যাণী থানায় এফআইআর হয়েছে। পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে। মারে জখম পুরুষ-আয়া বিশ্বজিৎ রায় আপাতত জেএনএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জেএনএম হাসপাতাল ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যেই পড়ে। হাসপাতালের সামনে অমর রায়ের এক ছেলের ওষুধের দোকান। এর আগে তাঁদের ফরমায়েশ মাফিক ওযুধ না লেখার কারণে কয়েক জন জুনিয়র ডাক্তারকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল অমর রায়ের ছেলে গৌতম ওরফে নাটুর বিরুদ্ধে। পুলিশ তাকে গ্রেফতারও করে। পরে সে জামিন পেয়ে যায়। এর পরে অমর রায়কে হাসপাতালের বিষয়ে জড়িত না থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁকে দল থেকে তাড়ানোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন। এর মধ্যে আয়ারা অমরবাবুর বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করতেই অমর রায়ের চার ছেলে তাঁদের হুমকি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ।
আয়ারা জানান, শনিবার বেলা ১২টা নাগাদ অমর রায়ের চার ছেলে কালীপুজোর চাঁদা তোলার জন্য চার পুরুষ-আয়াকে ডাকতে আসে। ওই চার আয়া অমর রায়ের বশংবদ বলেই পরিচিত। কিন্তু বিশ্বজিৎ এর প্রতিবাদ করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ওই চার জন ডিউটি না করে দিনের পর দিন টাকা নিয়ে যাচ্ছে। অন্যদের তাদের কাজ করে দিতে হচ্ছে।’’
এ দিন নাটুর সঙ্গে অমর রায়ের বাকি তিন ছেলে বাবু, টিকা এবং হলাও ছিল। বিশ্বজিতের সঙ্গে তাঁদের বচসা বেধে যায়। বিশ্বজিৎকে সমর্থন করেন মহিলা আয়ারাও। তখনই চার ভাই বিশ্বজিতের উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ। লোহার রড দিয়ে তাঁকে পেটানো হয়। এক মহিলা আয়ার শ্লীলতাহানি করা হয়। রক্তাত্ত বিশ্বজিৎকে ওই হাসপাতালেই ভর্তি করা হয়। পরে আয়ারা দল বেঁধে কল্যাণী থানায় গিয়ে এফআইআর করেন। তখনও অমরবাবুর ছেলেরা দলবল নিয়ে তাঁদের ধাওয়া করেন বলে অভিযোগ।
নদিয়ার এসডিপিও (কল্যাণী) কৌস্তভকান্তি আচার্য বলেন, ‘‘গুরুতর অভিযোগ। পুলিশ তদন্ত করছে।’’' অমরবাবুর চার ছেলেই অবশ্য এর মধ্যে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছেন। আর, অমরবাবুর দাবি, ‘‘আমি অসুস্থ হয়ে বাড়িতে শুয়ে আছি। ছেলেদের ব্যাপারে কিছুই জানি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy