মেডিক্যাল কলেজে আনা হল সিরাজুলকে। নিজস্ব চিত্র
বোমাবাজিতে জখম হলেন এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে রানিনগর থানার গোধনপাড়া এলাকায়। জখম সিরাজুল ইসলামকে প্রথমে গোধনপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হলে থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোধনপাড়া এলাকায় বেশ কিছুদি ন ধরেই শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোল চলছিল, এর আগেও ওই এলাকা থেকে প্রচুর বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। তবে ঘটনার জেরে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলেই জানিয়েছে পুলিশ। যদিও তৃণমূল গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি, কংগ্রেস কর্মীরাই তাদের কর্মীদের উপরে বোমা ছুড়েছে। কংগ্রেস সেই দাবি অস্বীকার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা শাহ আলম সরকার ও তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর মধ্যে একটা ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে। বর্তমানে সেই লড়াই তীব্রতর হয়েছে। উভয়পক্ষই বোমা এবং আগ্নেয়াস্ত্র মজুত শুরু করেছে বলেও পুলিশের একাংশের দাবি।
রাজনৈতিক মহলের দাবি, মূলত শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলকে কেন্দ্র করেই গোধনপাড়া এলাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
তৃণমূলের দাবি, সিরাজুল তাদের সক্রিয় কর্মী। এলাকায় কংগ্রেসের মদদপুষ্ট দুষ্কৃতীরা তাকে খুন করার চেষ্টা করেছিল। যদিও কংগ্রেস এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছে। তাদের দাবি, তৃণমূল কথায় কথায় কংগ্রেসকে দূরবীণ দিয়ে খোঁজে আর যখন নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল হয় তখনই একটা পক্ষকে কংগ্রেসের তকমা দেওয়া হয়।
রানিনগর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শাহ আলম সরকার বলছেন, ‘‘সামনে নির্বাচন কংগ্রেস এলাকা দখল করতে চাইছে বোমাবাজি করে। আমাদের কর্মীদের ভয় দেখিয়ে দমাতে চাইছে ওরা।’’ আর রানিনগরের কংগ্রেস বিধায়ক ফিরোজা বেগম বলছেন, ‘‘গোটাটাই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। নিজেদের মধ্যে গন্ডগোল সামাল না দিতে পেরে এখন কংগ্রেসের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে ওরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy