Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
baharampur

চোর সন্দেহে বাড়িতে বন্ধ করে মারধর! মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করল পুলিশ, হল চিকিৎসা

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকার বাসিন্দা সাদ্দাম শেখের বাড়িতে বুধবার রাতে ‘চুরি’ করতে ঢুকেছিলেন ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বসির শেখ এবং মুনি শেখ। তাঁরা তিন বস্তা তিল এবং সর্ষে চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন।

গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৪ ১৬:২২
Share: Save:

পুলিশ তৎপর হলে যে গণপিটুনির মতো ঘটনাকেও সময় থাকতে রুখে দেওয়া যায়, তা প্রমাণ করল বহরমপুরের পুলিশ। মধ্যরাতের পরে থানায় খবর এসেছিল, চোর সন্দেহে দু’জনকে বাড়িতে বন্ধ করে মারধর করা হচ্ছে। সেই খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশের একটি দল দ্রুত পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। জনতার রোষ থেকে দু’জনকেই উদ্ধার করে তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে পুলিশ।

ঘটনাটি বহরমপুর থানার অন্তর্গত মেহেদিপুর-ভীমপুর এলাকার। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই এলাকার বাসিন্দা সাদ্দাম শেখের বাড়িতে বুধবার রাতে ‘চুরি’ করতে ঢুকেছিলেন ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বসির শেখ এবং মুনি শেখ। পেশায় কৃষক সাদ্দামের বাড়িতে কিছু তিল এবং সর্ষের বস্তা রাখা ছিল। বসির এবং মুনি তিন বস্তা তিল এবং সর্ষে চুরি করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন।

জাহিদা বিবি নামে ওই গ্রামের বাসিন্দা এক মহিলার কথায়, ‘‘রাতের অন্ধকারে হঠাৎই লক্ষ করি, দু’জন কিছু বস্তা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে। আমরা চিৎকার-চেঁচামেচি করতেই ওরা বস্তাগুলো ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু গ্রামের যুবকেরা তাড়া করে ধরে ফেলে তাদের।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, ধরা পড়ার পরেই বসির এবং মুনিকে বাড়ির ভিতর বন্ধ করে মারধর করছিলেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার আগেই তাঁদের উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। যদিও গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ে যাওয়া দু’জনকে তাঁরা মোটেই মারধর করেননি। বহরমপুরের বাসিন্দাদের একাংশ অবশ্য মনে করছেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই যে ভাবে কলকাতা-সহ রাজ্যের কিছু জেলায় ‘চোর’ বা ‘ছেলেধরা’ সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা ঘটছে, তাতে বহরমপুরের ঘটনা এবং পুলিশের তৎপরতা কিছুটা স্বস্তির।

অন্য বিষয়গুলি:

baharampur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy