মহারাষ্ট্রের সেই শিক্ষানবিশ আমলা পূজা খেড়কর। —ফাইল চিত্র।
কাজে যোগ দেওয়ার আগেই জেলাশাসকের কার্যালয়ে ‘হুকুম’ জারি করেছিলেন মহারাষ্ট্রের শিক্ষানবিশ আমলা পূজা খেড়কর। ঊর্ধ্বতন কর্তার প্রতিনিধিকে বলেছিলেন, ‘‘আমার ঘর, চেম্বার, গাড়ি যেন কাজে যোগ দেওয়ার আগেই প্রস্তুত থাকে। কাজে যোগ দেওয়ার পরে আর এ নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না।’’ পূজা এবং জেলাশাসকের দফতরের প্রতিনিধির সেই হোয়াট্সঅ্যাপ কথোপকথনের কয়েকটি ‘স্ক্রিনশট’ প্রকাশ্যে এসেছে বৃহস্পতিবার। শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।
ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে বুধবারই শাস্তি দেওয়া হয়েছে পূজাকে। তার পর থেকেই প্রকাশ্যে আসছে তাঁর একাধিক ‘কীর্তি’।
ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে অসত্যভাষণের অভিযোগ উঠেছে। বলা হয়েছে, আমলা হওয়ার পরীক্ষায় সংরক্ষণের সুবিধা পাওয়ার জন্য পূজা নিজেকে ‘বিশেষ ভাবে সক্ষম’ দেখিয়েছিলেন। দৃষ্টি এবং মানসিক প্রতিবন্ধকতার কথা জানিয়েছিলেন। নিজেকে অনগ্রসর শ্রেণিভুক্ত বলেও দেখিয়েছিলেন। এর কিছুই সত্য নয় বলে অভিযোগ মহারাষ্ট্রের এক সমাজসেবীর। তার পরেই প্রকাশ্যে এসেছে পূজার হোয়াট্সঅ্যাপ কথোপকথনের ‘স্ক্রিনশট’। পূজা লিখেছেন, ‘‘৩ জুন পুণের সহকারী জেলাশাসক হিসাবে কাজে যোগ দেব। আমার অফিস এবং গাড়ির কী ব্যবস্থা হয়েছে জানালে ভাল হয়।’’ জবাব আসে, ‘‘জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলে জানানো হবে।’’
দিন কয়েক পরে আবার পূজা লেখেন, ‘‘আমার গাড়ি, কেবিন, থাকার কী ব্যবস্থা হল জানান।’’ তাঁকে বলা হয়, ‘‘আপনি এখানে এসে পৌঁছনোর পরে আলোচনা হবে।’’ সেই জবাবে ক্ষুব্ধ পূজা সটান হুকুম করেন, ‘‘আমি মনে করি, যাবতীয় ব্যবস্থা আমার কাজে যোগ দেওয়ার আগেই তৈরি থাকা উচিত। পরে নয়।’’ চার দিন পরে পূজা আবার ওই প্রতিনিধিকে ফোন করেন। জবাব না পেয়ে হোয়াট্সঅ্যাপে লেখেন, ‘‘দয়া করে আমার নির্ধারিত কেবিন, গাড়ি প্রস্তুত রাখবেন। ৩ জুন যাচ্ছি। না পারলে জানান। আমিই জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলব।’’ এক জন শিক্ষানবিশ আমলার এমন আচরণে বিস্মিত প্রায় সকলেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy