—প্রতীকী ছবি।
ভোট আসতেই বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্রের আনাগোনা শুরু হয়ে গেল সুতি ও ফরাক্কায়। বাংলাদেশ ও ঝাড়খণ্ড লাগোয়া দুই এলাকায় দু’দিনে ৪টি জায়গায় হানা দিয়ে পুলিশ প্রচুর বোমা ও একাধিক আগ্নেয়াস্ত্র ও তাজা গুলি উদ্ধার করায় এলাকায় উদ্বেগ বেড়েছে। পুলিশ ওই ৪টি ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে।
সুতি ও ফরাক্কায় বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্রের আনাগোনা নতুন কিছু নয়। সামান্য ঝগড়া বিবাদেই বোমাবাজি ও আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহারের নজিরও রয়েছে অসংখ্য। গত বিধানসভা নির্বাচনের দিন কয়েক আগেই শমসেরগঞ্জে গুলিবিদ্ধ হন এক কংগ্রেস কর্মী। তা নিয়ে অশান্তি ছড়ায় এলাকায়। অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে।
শমসেরগঞ্জ ও ফরাক্কা দক্ষিণ মালদা লোকসভার অধীনে। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার বাকি এলাকা জঙ্গিপুর লোকসভায়। দু’টি কেন্দ্রেই এ বারে নির্বাচনী লড়াই যথেষ্ট চ্যালেঞ্জের, বিশেষ করে কংগ্রেস, বিজেপি ও তৃণমূলের কাছে। বেশ কিছু এলাকা উত্তেজনাপ্রবণও।
গত শুক্রবার ভোরে সুতির ধলার মোড়ে ১২ নম্বর (পুরনো ৩৪ নম্বর) জাতীয় সড়কের পাশে এক যুবককে সন্দেহজনক গতিবিধির জন্য আটক করে পুলিশ। তার নাম সুলতান শেখ ওরফে বাঘু।বাড়ি হাফানিয়া লাগোয়া শান্তিপুর গ্রামে। তাকে তল্লাশি করে তার প্যান্টের ডান পকেট থেকে মেলে একটি থ্রি নট থ্রি পিস্তল। এরপরই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, বহু দিন থেকেই আগ্নেয়াস্ত্রের কারবারে জড়িত সে। এ দিনও সেটি আনা হয়েছিল কাউকে বিক্রির জন্য বলে সন্দেহ পুলিশের।
সেদিনই রাতে সুতির নতুন চাঁদরার কোন্দলিয়া আমবাগান থেকে উদ্ধার হয় ৫০টি তাজা সুতলি বোমা। সেগুলি একটি কালো প্লাস্টিক কন্টেনারের মধ্যে পুরে রাখা ছিল রেল লাইনের ধারে।পুলিশি তদন্তে জানা যায়, নতুন চাঁদরা গ্রামের জনৈক আব্দুল কাশেম ও তাঁর দলবল ওই সব বোমা বানিয়ে কন্টেনারে পুরে সেখানে রেখেছিল। পুলিসের সন্দেহ, এলাকায় সন্ত্রাসের আবহাওয়া তৈরি করার জন্যই রাখা হয়েছিল তা। পরদিন বোম স্কোয়াড এসে সেগুলি নিষ্ক্রিয় করে।
ওই দিনই ফরাক্কাতেও ফিডার ক্যানাল সড়কের ধোসাঘাটের কাছে দুই যুবককে রাতে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখে টহলদারি পুলিশ। পুলিসের গাড়ি সেখানে যেতেই দুই যুবকই পালাতে চেষ্টা করে। কিন্তু পুলিশ তাদের ঘিরে ফেলে। দু’জনকে ধরেই তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। দু’জনের কাছে পাওয়া যায় দু’টি গুলিভর্তি থ্রি নট থ্রি, ওয়ান সটার দেশি পাইপগান। আর এক জনের ডান পকেটে মেলে ৫ রাউন্ড গুলি।
গ্রেফতার করা হয় দু’জনকেই। তাদের এক জনের নাম সামিম শেখ, বাড়ি ফরাক্কার বটতলা। অন্যজন রুবেল শেখ, বাড়ি খোদাবন্দপুর। পুলিশের সন্দেহ, বিক্রি করার জন্যই এই সব গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্র আনা হয়েছিল।
শুক্রবারই রাতে ফিডার ক্যানাল সড়কে যখন আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুই যুবক ধরা পড়ে, ঠিক তখনই ফরাক্কা থানায় খবর আসে বেনিয়াগ্রামের আন্ধুয়া গ্রামের ভাঙা সেতু এলাকায় কিছু দুষ্কৃতী জমায়েত হয়েছে। তাদের হাতে প্রচুর সংখ্যায় প্লাস্টিকের বল বোমা রয়েছে। পুলিশ গিয়ে সেখানে দেখে কিছু বোমার গান পাউডার, পাথর, ভাঙা প্লাস্টিক পড়ে রয়েছে। বোমা ফাটার গন্ধে ম ম করছে এলাকা। এলাকায় তল্লাশি শুরু করলে ভাঙা সেতুর নীচের থেকে ২৬টি তাজা প্লাস্টিক বল বোমা উদ্ধার করা হয়। তবে এই ঘটনায় দুষ্কৃতীদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। একই দিনে সুতি ও ফরাক্কায় ৪টি জায়গা থেকে এ ভাবে বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে তবে কি এগুলি নির্বাচনের আগে সন্ত্রাস সৃস্টির জন্য এলাকায় আনা হচ্ছে?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy