প্রতীকী ছবি।
স্ত্রীর এবং তার প্রেমিকের বিয়ের পথে বাধা ছিলেন তিনি। সেই জন্য ‘পথের কাঁটা’ সরাতেই খুন করা হয়েছে তন্ময় দেবনাথকে। নওদায় ওই যুবকের খুনের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী এবং এক পড়শি যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের জেরায় পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, নিহতের স্ত্রীর সঙ্গে ওই পড়শি যুবকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। সম্পর্কের টানাপড়েনেই খুন।
গত ৮ জানুয়ারি রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন নওদার সর্বাঙ্গপুর গ্রামের বাসিন্দা, বছর ত্রিশের তন্ময়। শুক্রবার দুপুরে নদিয়ার পলাশিতে রামনগরে নদীর ধার থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পড়শি পিন্টু বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিহতের স্ত্রী মৌটুসিকেও আটক করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীর খুনে তার জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ মেলার পর পুলিশ শনিবার তাকে গ্রেফতার করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময় তন্ময় ও পিন্টুর মধ্যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল। সেই সূত্রেই একে অন্যের বাড়িতে যেত। নিহতের পরিবারের দাবি, এভাবে বছর কয়েক আগে পিন্টুর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তন্ময়ের স্ত্রী। একাধিক বার তারা পালিয়ে গিয়েছে বলেও খবর। দেড় মাস আগে কাউকে না জানিয়ে তারা দিঘায় ঘুরতে গিয়েছিল। সম্প্রতি মৌটুসিকে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য তন্ময়কে চাপ দিচ্ছিল পিন্টু। তন্ময়ের মা মমতাবালা দেবনাথ এদিন বলেন, ‘‘ছেলেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন করেছে পিন্টু। ছেলের বউ এতে জড়িত। কয়েক জন গ্রামবাসী জানান, ওই দিন স্থানীয় একটি মাঠে তন্ময় ও পিন্টু একসঙ্গে মদ্যপান করেন। তারপর তন্ময় ও পিন্টু মোটরবাইকে ঝিকড়া গ্রামের দিকে চলে যান। পরিবারের সন্দেহ, পিন্টুই তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে নদীর জলে ফেলে দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, দেহে আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে সব স্পষ্ট হবে। আজ, রবিবার মৌটুসিকে আদালতে তোলা হবে। তন্ময়ের বাইকের খোঁজ মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy