নিহত বাবুলাল। ফাইল চিত্র
বাদকুল্লার সিপিএম কর্মী বাবুলাল বিশ্বাসকে রাজনৈতিক কারণেই খুন করা হয়েছে কি না তা এখনও তা স্পষ্ট নয় তদন্তকারীদের কাছে। কিন্তু তৃণমূল এই খুনের পিছনে রয়েছে অভিযোগ করে মাঠে নেমে পড়েছে সিপিএম। খুনের পরে পাঁচ দিন কেটে গেলেও বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি কেউ। ফলে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও তুলছে সিপিএম।
গত ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় গুলিতে খুন হন বাদকুল্লা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের দোসতিনা বাগদিপাড়ার বাবুলাল বিশ্বাস। বাদকুল্লা-হাঁসখালি রাস্তায় দোসতিনার কাছেই তাঁকে গুলি করা হয়। পরের দিন বাদকুল্লায় ধিক্কার মিছিল বার করার পাশাপাশি রাস্তা অবরোধ করে সিপিএম। তার পরের দিন তাহেরপুরে বন্ধও ডাকা হয়। ঘটনাচক্রে, তাহেরপুরই নদিয়া জেলায় এখনও সিপিএমের হাতে থাকা এক মাত্র পুরসভা। এই খুনের পর থেকেই রাজনৈতিক কর্মসূচি সংগঠিত করার ব্যাপারে তাদের মরিয়া মনোভাব কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
বাবুলাল খুন হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলে এটি ‘রাজনৈতিক খুন’ বলে দাবি করে আসছে সিপিএম। সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুমিত দে-র দাবি, “পঞ্চায়েত ভোটে বাবুলাল একা লড়াই করেছে। তৃণমুল ওর জন্য ওখানে জমি পাচ্ছিল না। সেই আক্রোশেই এই খুন। পুলিশ দোষীদের আড়াল করছে। এটা আমরা আগেও দুলাল বিশ্বাস বা সত্যজিৎ বিশ্বাস খুনের সময়ে দেখেছি।’’ রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার ভিএসআর অনন্তনাগ অবশ্য বলছেন, “এটা রাজনৈতিক খুন কি না তা এখনই বলাটা তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে।’’
সিপিএম অবশ্য ইতিমধ্যে একাধিক কর্মসূচি ছকে ফেলেছে। আজ, শুক্রবার রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার এবং রবিবার এসডিপিও (রানাঘাট)-কে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। কাল, শনিবার বিকেলে বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী বাগদিপাড়ায় বাবুলাল বিশ্বাসের বাড়ি যাবেন বলেও ঠিক আছে। সোমবার যাওয়ার কথা পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমের। পরে তাঁরা বাদকুল্লা ধানহাটে জনসভা করবেন। ১৭ তারিখ বাবুলালের পরিবারের সাহায্যার্থে জেলা জুড়ে গণ অর্থ সংগ্রহ অভিযানে নামার পরিকল্পনা। ২১ সেপ্টেম্বর কৃষ্ণনগরে ‘শহিদ সমাবেশ’-এ থাকার কথা সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের।
তৃণমূলের দাবি, অরাজনৈতিক খুনকে ‘রাজনৈতিক’ বলে চালানো হচ্ছে। দলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শঙ্কর সিংহের দাবি, “তৃণমূলের কেউ জড়িত নয় বলেই আমরা মনে করি। যিনি মারা গিয়েছেন তিনি এমন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলেন না যাতে এতে কারও রাজনৈতিক ফায়দা হতে পারে। রাজনীতিকরণ করতে গিয়ে মূল ঘটনার গতিপথ ঘুরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে।”
সুমিত দে-র প্রশ্ন, ‘‘বাবুলাল যে খুন হয়েছে তা তো সত্যি, নাকি তা নিয়েও কারও সন্দেহ আছে? পুলিশের সন্দেহ আছে? না হলে, এখনও কেউ গ্রেফতার হল না কেন?” রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার বলেন, ‘‘দ্রুত অপরাধীকে ধরার চেষ্টা হচ্ছে। অপরাধী গ্রেফতার হলেই খুনের কারণ স্পষ্ট হয়ে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy