পোস্ট অফিস থেকেই পোস্টমাস্টারকে ‘অপহরণ’ করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় থানায়। অন্য দিকে, খবর পেয়ে অপহৃতা স্ত্রীকে উদ্ধার করতে যান স্বামীও। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
পরিবারের মত ছিল না। তবু বেকার প্রেমিককেই বিয়ে করেছিলেন পোস্টমাস্টার মেয়ে। মঙ্গলবার সেই মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য দু’টি গাড়ি নিয়ে এসেছিলেন বাবা। অভিযোগ, পোস্ট অফিস থেকেই পোস্টমাস্টারকে ‘অপহরণ’ করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় থানায়। অন্য দিকে, খবর পেয়ে অপহৃতা স্ত্রীকে উদ্ধার করতে যান স্বামীও। বেশ কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পর পুলিশের গাড়ি দেখে মেয়েকে ফেলে রেখে চলে যায় দু’টি গাড়ি। প্রেম দিবসে নদিয়ার পলাশিপাড়া থানার ঈশ্বরচন্দ্রপুর এলাকায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
পুলিশ জানিয়েছে, অপহৃতা পোস্টমাস্টারকে আড়বেতাই এলাকা থেকে উদ্ধার করে তারা। এই ঘটনায় কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মাস ছয়েক আগে ঈশ্বরচন্দ্রপুর বকুলতলা পোস্ট অফিসে পোস্টমাস্টার হয়ে আসেন নদিয়ার ধুবুলিয়ার বাসিন্দা সুচন্দ্রা প্রামাণিক। চাকরি পাওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই স্থানীয় যুবক অভ্রনীল মণ্ডলের প্রেমে পড়েন। কিন্তু সুচন্দ্রার বাড়ির লোকজন এই সম্পর্ক মানেননি। বরং তাঁরা মেয়েকে বোঝাতে শুরু করেন যে ছেলে বেকার। তাই তাঁর সঙ্গে বিয়ে দেবেন না। কিন্তু সুচন্দ্রা নাছোড় ছিলেন। তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে কিছু দিন আগে অভ্রনীলকে বিয়ে করেন।
এই খবর জানতে পেরে সুচন্দ্রার বাপের বাড়ির লোকজন অভ্রনীলের বাড়িতে এসে এক বার ঝামেলা করেন বলে অভিযোগ। সোমবার এ নিয়ে সুচন্দ্রার বাবা সঞ্জয় প্রামাণিকের বিরদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন অভ্রনীলের পরিবার। তার পরেই মঙ্গলবারের এই ঘটনা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবার পোস্ট অফিসে কাজে এসেছিলেন সুচন্দ্রা। বেলা ১টা নাগাদ দু’টি গাড়ি পোস্ট অফিসের সামনে এসে দাঁড়ায়। গাড়ি থেকে জনা কয়েক লোক নেমে সোজা ঢুকে যান পোস্ট অফিসে। অফিস থেকে পোস্টমাস্টারকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। সুচন্দ্রা বাধা দিয়েও কিছু করতে পারেননি। তাঁকে তুলে নিয়ে দ্রুত বেরিয়ে যায় দুটো গাড়ি। অফিস থেকে পোস্টমাস্টারকে অপহরণ করা হয়েছে, এই খবর চাউর হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
খবর পেয়ে ওই দু’টি গাড়িকে ধাওয়া করে পুলিশ। তরুণীকে উদ্ধার করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, তিনি পুলিশকে সব খুলে বললেও কারও নামে অভিযোগ করতে চাননি। তিনি স্বামীর কাছে ফিরে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy