এত দিন কেউ পাত্তাই দিচ্ছিল না।
আনন্দবাজারে খবর প্রকাশ হতেই নড়ে-চড়ে বসল পুলিশ। নবদ্বীপের তুড়োপাড়ায় তৃণমূলের ঝান্ডা লাগিয়ে স্থানীয় ক্লাব যে বাড়িটি দখল করেছে বলে অভিযোগ, শুক্রবার দুপুরে সেটি দেখতে গেলেন নবদ্বীপ থানার আইসি সুবীরকুমার পাল। ক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে কথাও বলেন।
বাড়িটি আছে তিন ভাইয়ের নামে। তাঁদের অন্যতম, চণ্ডীচরণ ভদ্রের রণকালীতলার বাড়িতেও সন্ধ্যায় যান আইসি। সঙ্গে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মলকান্তি দেব, যাঁর বিরুদ্ধে ক্লাবের লোকজনকে বাড়ি দখলে মদত দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিনি অবশ্য এ দিনও দাবি করেন, ‘‘আমি কাউকে বাড়ি দখলে মদত দিইনি। ভিত্তিহীন অভিযোগ।’’
চণ্ডীচরণের এক ভাই, বর্তমানে কাঁচড়াপাড়ার বাসিন্দা প্রসাদচন্দ্র ভদ্রের বক্তব্য, “আগে পরপর দু’দিন থানায় গেলেও পুলিশ অভিযোগ নিতে চায়নি। তবে এ বার নবদ্বীপ থানার আইসি ফোন করে বিস্তারিত খোঁজ নিয়েছেন। যে কোনও দিন থানায় গিয়ে দেখা করার কথা বলেছেন। সোমবার যাব।”
চণ্ডীচরণ বলেন, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তুড়োপাড়ায় দেড় কাঠা জমিতে মা বেলা ভদ্রের নামে দোতলা বাড়িটি ছিল। ২০০২ সালে তাঁর মৃত্যুর পর বাড়িটি তিন ছেলের নামে যায়। তিন জনই অন্যত্র থাকায় বাড়িটি তালাবন্ধ থাকত। মাঝে-মধ্যে ছেলেরা এসে দেখে যেতেন। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল পুরপ্রধান বিমানকৃষ্ণ সাহা ও স্থানীয় কাউন্সিলরের প্রশ্রয়ে এক বছর আগে এলাকারই ‘উইন ক্লাব’ বাড়িটি দখল করে। এক সদস্যের পরিবারকে সেখানে বসিয়েও দেওয়া হয়েছে। যদিও পুরপ্রধান বাড়ি দখলে ইন্ধন দেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন।
কী বলছেন নবদ্বীপের তৃণমূল বিধায়ক পুন্ডরীকাক্ষ সাহা? তাঁর দাবি, “খোঁজ নিয়ে দেখেছি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। শুনেছি, তিন ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই ওই বাড়ির চাবি ক্লাবকে দিয়েছিল। আমরা অন্যায় কাজে প্রশ্রয় দিই না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy