Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

এগরোল, ফুচকায় ফের মজছে শহর

সরকারি নির্দেশ মেনে সোমবার থেকে হোটেল রেস্তোরাঁর পাশাপাশি স্ট্রিট ফুডের দোকান খোলাতেও ছাড় মিলেছে। ফলে বিকেল হতে না হতেই পসরা সাজিয়ে বসছেন ফুচকা, মোমো থেকে চিকেনসহ নানা ফাস্টফুড নিয়ে।

মাস্ক পরেই দোকানে। নিজস্ব চিত্র

মাস্ক পরেই দোকানে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০২০ ০৪:৫০
Share: Save:

আনলক পর্বের পরে হোটেল রেস্তরাঁর দরজা খুললেও সেখানে ভিড় তত নেই। তুলনায় মানুষের যাওয়া আসা বেশি হচ্ছে স্ট্রিট ফুডের দোকানগুলোতে। সন্ধে হলেই তা বেশ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে শহর বহরমপুরে। এগরোল, চাউমিনের দোকানের সামনে অল্প অল্প করে ভিড় জমছে। গল্পগাছা হচ্ছে। তার পরে কোনও দোকানে স্যানিটাইজ়ারে হাত মুছে দোকানদারের কাছ থেকে এগরোল বা চাউমিনের প্যাকেট তুলে নিতে দেখা যাচ্ছে। একটি ফাস্ট ফুডের দোকানদার বললেন, ‘‘আগের মতো ভিড় না হলেও, সন্ধের পরে বেশ ভালই বিক্রি হচ্ছে।’’
সরকারি নির্দেশ মেনে সোমবার থেকে হোটেল রেস্তোরাঁর পাশাপাশি স্ট্রিট ফুডের দোকান খোলাতেও ছাড় মিলেছে। ফলে বিকেল হতে না হতেই পসরা সাজিয়ে বসছেন ফুচকা, মোমো থেকে চিকেনসহ নানা ফাস্টফুড নিয়ে। যা দেখে একটু একটু করে লকডাউন উত্তর চেনা বহরমপুরের চিত্রটা ফিরছে বলেই মনে করছেন শহরবাসী। আর তাল মিলিয়ে সেই সব দোকানেও বুকভরা ভয় নিয়ে সেই সব স্টলে গুটি গুটি পায়ে হাজির হচ্ছেন কেউ কেউ।
তবে ভিড় এখনও আগের মতো নয়। ফুচকার আলু মাখতে মাখতে বলছিলেন বিশ্বজিৎ সাহা। দীর্ঘ দুমাস লকডাউনের জেরে এঁদেরই রুজিতে তালা পড়ে গিয়েছিল। বিশ্বজিৎ বলছেন, ‘‘লকডাউন শিথিল না হলে আমরা এবার না খেতে পেয়ে মরে যেতাম।’’ বিশ্বজিত বলেন, “ভিড় এড়াতে খুব বেশি হলে তিন জনের বেশি স্টলের সামনে দাঁড়াতে দিচ্ছি না। তার আগে হাতে স্যানিটাইজ়ার লাগিয়ে দিচ্ছি নিয়ম মতো।” আর হাতে স্যনিটাইজার লাগিয়ে ফুচকায় কামড় দিতে দিতে এক তরুণী বলছেন, “লকডাউনে রেডিমেড ফুচকা কিনতে পাওয়া যাচ্ছিল। বাড়িতে চেষ্টা করেও এখানকার মতো স্বাদ আনতে পারিনি।” সেই স্বাদের টানেই ঘরবন্দি থাকতে থাকতে অসহ্য হয়ে বাড়ির বাইরে সস্ত্রীক পা রেখেছেন শিক্ষক বিপ্লব শেখ। ধোঁয়া ওঠা মোমো হাতে নিয়ে তিনি বলছেন, “তবে যতগুলো স্ট্রিট ফুড আছে তার মধ্যে এই মুহূর্তে মোমো খাওয়া নিরাপদ। কারণ, মোমো যে ভাপ দিয়ে রান্না হয়।” তবে যেখান থেকে খাচ্ছিলেন সেই বিক্রেতা অবশ্য স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই তা বিক্রি করছিলেন। স্যান্ডউইচ বিক্রেতা মনু হালদার স্যানিটাইজ়ার দেখিয়ে বললেন, ‘‘আগে হাত পরিষ্কার করুন তারপর কথা শুরু হবে।’’ তরুণ তন্ময় ধর বার্গার খেতে খেতে বলছেন, “সত্যি কথা বলতে, করোনা দূরের কথা, এমনিতেই ফাস্ট ফুড খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু সে আর মানতে পারি কী করে?’’

অন্য বিষয়গুলি:

eggroll junk food
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE