ডিজের দাপটে নাজেহাল স্থানীয় বাসিন্দা। — ফাইল চিত্র।
শীতের আমেজ আর বড় দিনের আনন্দ মেখে পিকনিক এখন এলাকা জুড়ে। আর পিকনিক মানেই শব্দ দানবের অত্যাচার। শহর থেকে গ্রাম, সব এলাকায় উচ্চ ক্ষমতার ‘সাউন্ড সিস্টেমের’ দাপটে নাকাল হতে হয় সাধারণ মানুষকে। বিগত দু’বছরে লকডাউনের সৌজন্যে শব্দ দানবের দাপট কিছুটা কম হলেও এ বছর ডিজের অত্যাচার চরমে উঠেছে।
মহকুমার বিভিন্ন থানায় ইতিমধ্যে অভিযোগ এসেছে বিভিন্ন মহল থেকে। আর তাতেই শেষ পর্যন্ত বড়দিনের পরে নড়ে চড়ে বসল পুলিশ প্রশাসন। মঙ্গলবার ডোমকল থানা রীতিমতো মাইক লাগিয়ে এলাকায় প্রচার চালাল, ডিজে (উচ্চ ক্ষমতার সাউন্ড সিস্টেম) ব্যবহারকারীদের সতর্ক করতে। ব্যবসায়ীদের ডেকেও সাবধান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ সূত্র। ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই লাগাম ছাড়া হয়েছে শব্দ দানবের অত্যাচার।
সাধারণ মানুষের দাবি, বুক কাপানো শব্দে কেঁপে উঠছে গোটা এলাকা। পুলিশকর্তারা বলছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সাউন্ড সিস্টেম ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা সেরেছেন, প্রয়োজনে বাজেয়াপ্ত করা হবে সাউন্ড সিস্টেম এমন হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
হাসপাতাল হোক বা জনবহুল এলাকা, মুক্তি নেই কারও। গাড়ি বোঝাই করে ঢাউস ঢাউস সাউন্ড সিস্টেম নিয়ে সকাল থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে পরিক্রমা, মাইকের দোকান থেকে পিকনিক স্পট পর্যন্ত যেমন চলছে এই দানবের অত্যাচার। তেমনই ভাবে পিকনিক স্পটে পৌঁছে শব্দ দানবের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে উদ্দাম নৃত্য। ডো
মকলের কুপিলা গ্রামের বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলছেন, ‘‘দিন কয়েক থেকে শুরু হয়েছে এমন শব্দ দানবের অত্যাচার, রাতের বেলা কান পাতা দায় হয়ে পড়েছে গ্রামে। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ছি।’’ পুলিশ কর্তারা বলছেন, খবর পেলেই পুলিশকর্মীরা পৌঁছে যাচ্ছেন সেখানে। বন্ধ করা হচ্ছে উচ্চক্ষমতার সাউন্ড সিস্টেম।
সাধারণ মানুষের দাবি, কেবল পিকনিকের স্পটে ডিজে বাজছে তাই নয়। মাইকের দোকান থেকে গাড়ি সাজিয়ে উচ্চস্বরে সেই সাউন্ড সিস্টেম বাজিয়ে পিকনিকের স্পটে পৌঁছাচ্ছে। আবার ফেরার সময় সেই একই ভাবে ফিরছে। অনেক এলাকায় বিকেল থেকে শুরু করে ভোর পর্যন্ত চলছে ডিজে বাজিয়ে উদ্দাম নৃত্য।
জলঙ্গির বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম বলছেন, ‘‘এই সময়ে প্রায় রোজ গভীর রাতের নিস্তব্ধতাকেও ভেঙে দিচ্ছে শব্দদানব। বিশেষ করে বয়স্ক এবং অসুস্থ মানুষরা এদের অত্যাচারে রীতিমতো অতিষ্ঠ।’’
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলছেন, মৌখিক ভাবে অনেক অভিযোগ আসার পরেই মাইক ব্যবসায়ীদের নিয়ে আমরা আলোচনায় বসে ছিলাম। তারপরেও মাইক লাগিয়ে গোটা এলাকায় প্রচার চালানো হয়েছে, যাতে আর এমন না হয়। তারপরেও কেউ নিয়ম ভাঙলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy