রাসে সেজে উঠেছে শান্তিপুরের এক বিগ্রহ বাড়ি। সোমবার। ছবি: প্রণব দেবনাথ
অতিমারির রাসে সচেতনতার পরীক্ষায় উদ্যোক্তারা লেটার মার্কস পেলেও জনতা কিন্তু পঞ্চাশ শতাংশের বেশি নম্বর পেল না। নয় নয় করে নেহাত খারাপ ভিড় হল না সোমবার রাসের রাতে নবদ্বীপের রাস্তায়। যদিও সার্বিক ভিড়ের নিরিখে উৎসবের রাতে নবদ্বীপ অনেক পিছিয়ে রইল কৃষ্ণনগরে থেকে।
জগদ্ধাত্রী বিসর্জনের রাতে যে উপচে পড়া ভিড়ের ছবি জেলাসদরে দেখা গিয়েছিল, রাসের রাত ৯টা পর্যন্ত তার সিকি ভাগও দেখা গেল না নবদ্বীপে। একই ছবি শান্তিপুরের ভাঙা রাসেও। সেখানে আরও কম লোক পথে নেমেছেন। তুলনায় নবদ্বীপে ভিড় বেশি ছিল। তবে তা অন্য বারের তুলনায় তা মেরেকেটে ৩০-৪০ শতাংশের বেশি নয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা বাজতেই প্রতিমা দেখতে পথে নামতে শুরু করেন নবদ্বীপের মানুষ। রাত ৮টা নাগাদ কিছু কিছু জায়গায় রীতিমতো থিকথিকে ভিড়। মূলত বিষ্ণুপ্রিয়া হল্ট থেকে পোড়ামাতলা, সেখান থেকে রাধাবাজার, যোগনাথতলা থেকে রয়াল ক্লাব, আগমেশ্বরী পাড়া, ফাঁসিতলার মতো জায়গায় ভিড় নেহাত খারাপ ছিল না। এ বারের ভিড় অবশ্য বহিরাগতদের নয়। বেশির ভাগই স্থানীয় লোকজন। অন্য বারের মতো সন্ধ্যায় একের পর এক লোকাল ট্রেন উগরে দেয়নি পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে আসা বিপুল ভিড়। বাইরের লোক যারা এসেছেন তাঁরা রাতে গাঢ় হওয়ার আগেই ফিরে গিয়েছেন।
যে হেতু এ বার বাজনার দাপট নেই ফলে রাস্তায় উদ্দাম নাচও তুলনায় অনেক কম। উৎসব এ বার অনেক শান্ত, সুস্থির। রাস অনেক পিছিয়ে যাওয়ায় ঠান্ডার কারণেও বেশি রাতে পথে থাকার পক্ষপাতী হননি অনেকে। তবে যাঁরা রাস্তায় নেমেছেন তাঁদের অর্ধেকের মুখেই আবার মাস্ক নেই। বিশেষ করে কমবয়সিদের। মণ্ডপের ভিড়ে অনেক জায়গায় পুলিশ তাঁদের ধরে মাস্ক পরিয়েছে। বহু মণ্ডপে আবার মাস্ক দিয়েছেন আয়োজকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy