তরুণীকে পুড়িয়ে খুনের অভিযোগ। প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যকে পুড়িয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নদিয়ার শান্তিপুরের। মৃতের নাম টুম্পা পাত্র সাঁতরা (৩৪)। তিনি নদিয়ার বাঘআঁচড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ছিলেন। বুধবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় টুম্পার বাড়ির লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ টুম্পার স্বামী বিশ্বজিৎ পাত্রকে গ্রেফতার করেছে।
টুম্পা তাঁর স্বামী বিশ্বজিৎ এবং দুই পুত্রকে নিয়ে শান্তিপুরের চরপানপাড়া এলাকায় থাকতেন। পেশায় দিনমজুর বিশ্বজিৎ। টুম্পার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে বিশ্বজিৎ মাঝেমাঝে মত্ত অবস্থায় টুম্পাকে মারধর করতেন। তাঁর বাড়ির লোকজনের আরও অভিযোগ, মদ্যপান করা নিয়ে গত ১৭ অগস্ট রাতে বিশ্বজিতের সঙ্গে টুম্পার অশান্তি হয়। অভিযোগ, সেই রাগে টুম্পার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন বিশ্বজিৎ। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছিলেন টুম্পা। বুধবার তাঁর মৃত্যু হয়।
এ নিয়ে মৃতার মা শম্পা পাত্র বলেন, ‘‘মেয়েকে মাঝেমাঝেই মারধর করত জামাই। আমরা ওকে একাধিক বার বুঝিয়েছি। ১৭ অগস্ট রাতেও ওদের মধ্যে অশান্তি হয়। তার পর মেয়ের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় জামাই। খবর পেয়ে আমরা তড়িঘড়ি মেয়েকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। পরে তাকে জওহরলাল নেহরু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু মেয়েকে বাঁচাতে পারলাম না। মৃত্যুর আগে মেয়ে খুব কষ্ট পেয়েছে। ও আমাকে বলেছে, ওর গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।’’ বিশ্বজিতের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছে টুম্পার পরিবার।
পুলিশ বিশ্বজিৎকে গ্রেফতার করেছে। বৃহস্পতিবার তাঁকে রানাঘাট মহাকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন ও খুনের মামলা দায়ের হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy