দেখা নেই শিশুদের। নিজস্ব চিত্র
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে ঘটা করে খাবার রান্না হল ঠিকই, কিন্তু খুদেরাই এল না। বরং শনিবারও ক্ষোভ উগরে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শুক্রবার তেহট্ট ১ ব্লকের নাটনা অঞ্চলের গোপালপুর গ্রামে ৫৫ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের খাবারে পোকা ঘুরতে দেখা যায়। অভিভাবকেরা তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বীথি গোস্বামী নামে যে কর্মী এত দিন ছুটি নিয়ে বসেছিলেন, তিনি এ দিন এসেছিলেন। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধেও নানা ক্ষোভের কথা শোনা গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বীথি শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে বেশ কিছু দিন ছুটিতে ছিলেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে দায়িত্ব ছিল ওই কেন্দ্রের রাঁধুনি মিলি হালদারের উপরে। বাচ্চা ও মায়েদের রান্না তিনি করতেন। শুক্রবার রান্না করা খাবারে পোকা পাওয়া যায়। স্থানীয় অভিভাবক থেকে বহু স্থানীয় বাসিন্দা বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ, এই প্রথম নয়, আগেও কয়েক বার খাবারে পোকা পাওয়া গিয়েছে।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, এ দিন বীথি গোস্বামী এলে এলাকার কিছু লোকজন তাঁকে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র খুলতে বাধা দেন। পরে তাঁদের বুঝিয়ে সুজিয়ে কেন্দ্র খোলা হয়। রান্নার সময়ে বীথি হাজির ছিলেন। কিন্তু সম্ভবত শুক্রবারের অভিজ্ঞতার জেরেই অভিভাবকেরা ছেলেমেয়েদের পাঠাননি। পাশের দুই পরিচিত বাড়ির বাচ্চাদের ডেকে এনে রান্না শুরু করা হয়। শেষ পর্যন্ত তিন খুদে আর তিন মা এসেছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বড় অংশের অভিযোগ, কেন্দ্রের কর্মীরা কোনও দিন ঠিক সময়ে আসেন না। কিন্তু খুদেরা দেরি করে এলে তাদের খাবার দেওয়া হয় না। আবার কখনও রান্না না করে খুদে পড়ুয়াদের শুধু কলা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বীথির স্বামী তাপস গোস্বামী অঙ্গনওয়াড়ি বিভাগে চাকরি করেন। অভিভাবকেরা কিছু বলতে গেলেই বীথি তাঁর নাম করে শাসান। বলেন, দফতরে গিয়ে যা কিছু বলার বলে আসতে বা জিজ্ঞাসা করে আসতে। গত বছরও খাবার খারাপ দেওয়ায় এই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছিল। তার পরেও হুঁশ ফেরেনি। কেন্দ্রের পাশেই ঝোপজঙ্গল হয়ে রয়েছে। তা নিয়েও কারও হেলদোল নেই। স্থানীয় বাসিন্দারা যতই যা বলুন, বীথি গোস্বামী সে সব কানে তোলেন না বলে অভিযোগ।
বীথি গোস্বামী অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন। তেহট্টের যুগ্ম বিডিও বিধান বিশ্বাস বলেন, ‘‘বিষয়টি খুব খারাপ হয়েছে। ঠিক মতো পরিষেবা দেওয়ার জন্য ওই কর্মীকে প্রয়োজনে অন্যত্র বদলির ব্যবস্থা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy