তখনও চলছে বিক্ষোভ। নাকাশিপাড়ার বিল্বগ্রামে। নিজস্ব চিত্র
একশো দিনের কাজ পাওয়া-সহ বেশ কিছু দাবি নিয়ে নাকাশিপাড়ার বিল্বগ্রাম পঞ্চায়েতের যুগপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক প্রায় আধঘণ্টা অবরোধ করে রাখলেন কয়েকশো শ্রমিক। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দিলে ওই শ্রমিকরা তাঁদের সমস্যা নিয়ে নাকাশিপাড়ার বিডিওর কাছে অভিযোগ জানান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় অনেক পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এসেছেন। তাঁরা এখন কাজহারা। কিন্তু পঞ্চায়েতে আবেদন করেও কাজ পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কাজ পাওয়া গেলে সঠিক মজুরি পাওয়া যাচ্ছে না। এক শ্রমিক বলেন, ‘‘অনেক সময় মজুরি ৬০-৬৫ টাকা করে পাওয়া যাচ্ছে। তাতে কোনও ভাবেই সংসার চলে না।’’
শ্রমিকদের অভিযোগ, কাজের মাস্টার রোল তৈরি হওয়ার পর তা পঞ্চায়েতে জমা দিতে গেলে জমা নেওয়া হচ্ছে না। নিজের এলাকায় কাজ থাকা সত্ত্বেও তিন চার কিলোমিটার দূরে কাজে যেতে হচ্ছে। তাঁরা জানান, অনেকেই কাজ করতে বাধ্য হয়ে টোটোয় যাচ্ছেন। তার পরেও সঠিক মজুরি পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁদের আরও অভিযোগ, যে দিন যে এলাকায় মাটি কাটা হচ্ছে, সেই এলাকায় সেই দিন তা মাপা হচ্ছে না। ফলে পরে বৃষ্টি হলে সঠিক ভাবে মাপ পাওয়া যাচ্ছে না। যার জেরে মজুরি অনেক কম পাওয়া যাচ্ছে।
এক শ্রমিক সমীর দাস বলেন, ‘‘আমাদের দাবিগুলো অনেক দিনের। এই বিষয়ে বিডিওকে জানিয়েছি। উনি আশ্বাস দিয়েছেন, বিষয়টি দেখবেন। তবে ওই মজুরি দিলে কাজ করা যাবে না।’’
আর এক পরিযায়ী শ্রমিক প্রশান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘আমি এক মাস আগে বাড়ি ফিরেছি অন্য রাজ্য থেকে। এখনও পর্যন্ত মাত্র ছ’দিনের কাজ পেয়েছি। এতে কি চলে? এ ছাড়াও মাটি কাটার পর তার মাপ হয় না। তাহলে আমরা বুঝব কী ভাবে?’’
ব্লক অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী ৬২ সিএফটি মাটি কাটলে তবেই পুরো মজুরি ২০৪ টাকা পাওয়া যায়। প্রতি দিন যে মাপ হবে তার হিসেবেই টাকা পাবেন শ্রমিকরা। নাকাশিপাড়ার বিডিও কল্লোল বিশ্বাস বলেন, ‘‘ওঁরা এসে অভিযোগ জানিয়েছেন। ওঁদের কাছাকাছি কাজ দেওয়া-সহ অন্যান্য সমস্যা নিয়ে পঞ্চায়েতের সঙ্গে কথা বলা হবে।’’
এই বিষয়ে কথা বলতে বিল্বগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কবিতা বিশ্বাস সরকারকে বার বার ফোন করা হলেও যোগাযোগ করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy