প্রতীকী ছবি।
মুকুল রায়ের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তনের পর নদিয়ায় বিজেপির ঘর ভাঙার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। রবিবার সেই ভাঙনের সূচনাও হয়েছে তিনি কৃষ্ণনগরে পা রাখার পর। এই রকম অবস্থায় পুরভোটকে সামনে রেখে নিজেদের ঘর অটুট রাখতে মরিয়া গেরুয়া শিবির।
জেলার পুরসভাগুলির অধিকাংশই দক্ষিণ প্রান্তে রানাঘাট এবং কল্যানী মহকুমায়। শুধুমাত্র কৃষ্ণনগর এবং নবদ্বীপ পুরসভার অবস্থান রয়েছে কৃষ্ণনগর সদর মহকুমায়। ২০১৮ পর্যন্ত কোনও পুরভোটেই নদিয়ার সে ভাবে ছাপ ফেলতে পারেনি বিজেপি। তবে সেই ছবি কিছুটা বদলে যায় ২০১৯-এ। লোকসভা ভোটে রানাঘাট লোকসভা জয়ের পাশাপাশি জেলার দক্ষিণে রানাঘাট এবং কল্যানী মহকুমার অধিকাংশ পুরসভাতেই বড় ব্যবধানে এগিয়ে যায় বিজেপি। তারা এগিয়ে ছিল কৃষ্ণনগর শহরেও। বিধানসভা ভোটেও নদিয়ার দক্ষিণপ্রান্তের আটটি বিধানসভাতে জয় পেয়েছে বিজেপি। সেই সঙ্গে নয়টির মধ্যে পাঁচটি পুরসভাতেই এগিয়ে তারা।
রানাঘাট এবং কল্যানী মহকুমার নয়টি পুর এলাকার মধ্যে তাহেরপুর নোটিফায়েড শুধু ২০১৫ সালের পুরভোটে জিতে নেয় বামেরা। এ ছাড়া বাকিগুলি তৃণমূলের দখলে যায়। এর মধ্যে কুপার্স ছাড়া বাকি আটটি পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে। ফলে বাকিগুলির নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী। বামেদের হাতে থাকা তাহেরপুরে অবশ্য বিধানসভা ভোটের ফলে এগিয়ে আছে তৃণমূল। এই শহরেরই বাসিন্দা দলের নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অশোক চক্রবর্তী। রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার শান্তিপুর বিধানসভায় দাঁড়িয়ে জিতলেও শান্তিপুর শহরে পিছিয়ে আছে বিজেপি। যদিও জগন্নাথের দাবি, কিছু যান্ত্রিক সমস্যার কারণে এখানে দু’টি বুথের গণনা করা যায়নি। কুপার্স, গয়েশপুর শহরেও এগিয়ে তৃণমূল। রানাঘাট, বীরনগর, চাকদহ, কল্যানীর মতো জেলার দক্ষিণে বাকি পুরসভাগুলিতে এগিয়ে আছে বিজেপি।
কিন্তু সম্প্রতি কয়েক জায়গায় বিজেপি থেকে তৃণমূলে নেতাকর্মীদের প্রত্যাবর্তন করতে দেখা গিয়েছে। দল ভাঙানো শুরু হয়েছে মুকুল রায়ের নেতৃত্বে। শহরাঞ্চলে বাসিন্দারা বিজেপিকে ভোট দিলেও সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছেই, বিশেষত গ্রামের দিকে। এরকম অবস্থায় পুরভোটের দিকে তাকিয়ে দলকে যথাসম্ভব অটুট রাখার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে জেলা বিজেপির অন্দরে।
দলীয় নেতৃত্বের দাবি, দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নিবিড় সংযোগ গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। বিজেপি নেতৃত্বর দাবি, জেলার দক্ষিণে মানুষ যে বিজেপিকে চাইছে তা আগের দু’টি ভোটেই স্পষ্ট। সেই ধারাই বজায় থাকবে। বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অশোক চক্রবর্তী বলেন, “লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে মানুষ রায় দিয়েছেন যে, তাঁরা বিজেপির সঙ্গে আছেন। আমাদের নেতাকর্মীরা দলের সঙ্গেই থাকবেন। একসঙ্গেই তারা লড়াই করবেন এবং আমরাই জিতব।”
অন্য দিকে, জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বানীকুমার রায়ের বক্তব্য, “বিজেপির ভোট কমছে তা স্পষ্ট। সাংগঠনিকভাবেও ধাক্কা খাচ্ছে ওরা। কাজেই পুরসভাগুলিতে আমাদের জয় নিশ্চিত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy