শীতযাপন: বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র
শীতকাল এসে গিয়েছে। দুয়ারে কড়া নাড়ছে বড়দিন। কিন্তু তার বেশ ক’দিন আগে থেকেই জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়তে শুরু করেছে। এক ধাক্কায় পারদ নেমে গিয়েছে অনেকখানি। কনকনে ঠান্ডায় তাই উষ্ণতা খুঁজছে বহরমপুর। কোথাও রাস্তার পাশেই আগুন জ্বালিয়ে বসে পড়ছেন লোকজন। কেউ আবার কেতা ভুলে মাঙ্কি ক্যাপেই মুখ ঢাকছেন।
তবে শীতকাল বলে তো আর কাজে ছুটি নেই। অগত্যা আলসেমি ভুলে সেই বাইরে বেরোতেই হচ্ছে। খাগড়ার বছর পঞ্চান্নর গোপাল কর্মকার শনিবার সকালে থলে নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন বাজারের উদ্দেশে। গোপাল বলছেন, ‘‘বড়দিনের আগেই এই অবস্থা! পরে তা হলে কী হবে, ভাবুন!’’
সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে ঢেকে থাকছে চারপাশ। সেই কুয়াশায় ভাগীরথীর এপার থেকে ওপার দেখা যায় না। তার মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে খেয়া পারাপার। বহরমপুরের রাধারঘাটের বাসিন্দা মানিক দাসকে রোজই ঘাট পেরোতে হয়। তিনি বলছেন, ‘‘শীতে নৌকা পারাপার করতে ভয়ই লাগে। কুয়াশায় চারপাশে কিছু দেখা যায় না।’’
জলপথের পাশাপাশি কুয়াশার প্রভাব পড়েছে সড়কপথেও। কুলি থেকে বহরমপুরে রোজই বাসে যাতায়াত করেন সরিফুল আলম। তিনি বলছেন, ‘‘কুয়াশার মধ্যে বাসে আসতে আসতে বেশ ভয় করে। ঘন কুয়াশায় কিছু দেথা যায় না। আর এই সময়ই বেশি দুর্ঘটনা ঘটে।’’
যদিও বহরমপুর ফেডারেশন অফ বাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল সাহা বলেন, ‘‘কুয়াশায় বাস চালানো খুব মুশকিল। বাস চালকদের বারবার সতর্ক করা হয়েছে। তার সঙ্গে কুয়াশায় বাস চলাচলে সুবিধার জন্য বাসে হলুদ রঙের সার্চ লাইট লাগানো হয়েছে।’’ অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সিরাজ দানেশ্বর বলেন, ‘‘কুয়াশায় পথ নিরাপত্তা নিয়ে প্রতি মাসে প্রশাসনিক বৈঠক হচ্ছে। চালকেরা যাতে এই সময় সতর্ক থাকেন, বলা হয়েছে তা-ও।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy