— প্রতীকী চিত্র।
বাবার পারলৌকিক কাজ ছিল বুধবার। বৃহস্পতিবার ছিল শ্রাদ্ধ উপলক্ষে খাওয়া-দাওয়া। আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব এসেছেন। সবার খাওয়া-দাওয়ার খোঁজখবর নিয়ে হঠাৎ চিলেকোঠার ঘরে চলে গেলেন প্রৌঢ়। অনেক ক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও স্বামীকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন দেওর। শেষে বাড়ির চিলেকোঠার ঘর থেকে ৫০ বছরের জগৎবন্ধু রজকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে শহরের মধুপুর ছাপখানা এলাকায়। এমন ঘটনায় বিস্মিত এবং শোকস্তব্ধ পরিবার। জগৎবন্ধু কেন আত্মহত্যা করলেন, তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি পরিবারের সদস্যেরা। সম্ভবত মানসিক অবসাদেই আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে করছেন তাঁরা।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, বাড়ির কাছেই একটি মুদিখানার দোকান জগৎবন্ধুর। অর্থনৈতিক অবস্থা মোটামুটি। কয়েক দিন আগে জগৎবন্ধুর বাবা মারা যান। বুধবার বাবার শ্রাদ্ধের কাজ করেন প্রৌঢ়। বৃহস্পতিবার আত্মীয়-স্বজনদের খাওয়ানোর আয়োজন করেছিলেন। তার মাঝেই হঠাৎ জগৎবন্ধু বেরিয়ে যান। বেশ কিছু ক্ষণ কেটে যাওয়ার পর তাঁর খোঁজ শুরু করেন স্ত্রী। বাড়ির কোথাও না পেয়ে স্বামীর খোঁজে চিলেকোঠার ঘরে গিয়েছিলেন। সেখানেই প্রৌঢ়ের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্ত্রী এবং ভাই।
পরিবারের দাবি, বাড়িতে কোনও অশান্তি হয়নি। তবে বেশ কিছু দিন ধরে কোনও কারণে অবসাদে ভুগছিলেন জগৎবন্ধু। সেখান থেকেই আত্মহত্যা বলে দাবি করেছেন কয়েক জন সদস্য। মৃতের স্ত্রী বেবি রজক বলেন, ‘‘ব্যবসাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন উনি। বাবার মৃত্যুর পর আরও ভেঙে পড়েছিলেন। কিন্তু ভাবিনি এরকম কিছু ঘটাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy