প্রতীকী ছবি।
ছেলে হেরোইনে আসক্ত। বিক্রিও করে। প্রতিদিন বাড়িতে বসে নেশার ঠেক। প্রচুর অল্প বয়সি ছেলেরা আসে হেরোইন কিনতে। ছেলেকে বারণ করেও কোনও লাভ হয়নি। উল্টে মারধর খেতে হয়েছে। বাধ্য হয়েই তাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন বৃদ্ধা। তাঁর দাবি, ছেলেকে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।
কৃষ্ণনগর শহরের বউবাজার শরৎ সরণি এলাকার বাসিন্দা বছর সত্তরের কল্পনা দাস পরিচারিকার কাজ করেন। বছর সাতেক আগে তাঁর স্বামী মারা গিয়েছেন। ছেলে আর মায়ের সংসার। কল্পনা জানান, বেশ কয়েক বছর আগে তাঁর ছেলে সৌমেন দাস হেরোইনের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে। নেশার টাকা জোগাড় করতে হেরোইন বিক্রি তো বটেই চুরি পর্যন্ত করে। মাস আটেক আগে একটি দোকানে চুরির অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। প্রায় সাত মাস জেলে থাকার পর বেরিয়ে ফের হেরোইনের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে।
বৃদ্ধার অভিযোগ, “শুধু আমার ছেলে একা নয়, ওর সঙ্গে আছে এক যুবকও। সেই মূল পান্ডা। সারাক্ষণ ঘরে নেশা করে। বাইরের লোক আসে। রাতে কাজ থেকে বাড়ি ফিরে ঘরে একটু বসতে পারি না। চৌকির উপর বসে থাকি আর ওরা মেঝেতে বসে আমারই সামনে হেরোইনের নেশা করে। বিক্রিও করে। আমি বারণ করলে খুনের হুমকি দেয়।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ জানান, তাঁরা ওই এলাকায় হেরোইন বিক্রি করতে বারণ করায় রাতের অন্ধকারে গুলি চালানো হয়। সেই ঘটনার পর থেকে তাঁরাও ভয়ে মুখে কুলুপ এঁটে সব কিছু সহ্য করে যাচ্ছেন।
বুধবার দুপুরে কল্পনার বাড়িতে গিয়ে দেখা মেলে তাঁর ছেলে সৌমেনের। অভিযোগের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে কোনও উত্তর না দিয়ে কার্যত পালিয়ে যায় সে।
কল্পনা বলেন, “সহ্যেরও একটা সীমা আছে। সব চাইতে খারাপ লাগে যখন দেখি এদের পাল্লায় পড়ে ছোট ছোট ছেলেরা নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। আমার ছেলের যা হওয়ার হয়েছে। অন্যের ছেলেগুলোকে তো বাঁচাতে হবে। সব জেনে শুনে ওইটুকু ছেলেদের তো আর সর্বনাশের পথে ঠেলে দিতে পারি না।” পুলিশের কাছে তাই তাঁর আবেদন, “ছেলেকে কঠিন ধারায় যুক্ত করে দীর্ঘ দিন হাজত বাস করালে হয়তো ছেলে ভাল হয়ে যাবে।’’
এ ব্যাপারে জেলার পুলিশ সুপার ঈশানী পালকে মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। ফলে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy