পথ দেখিয়েছিল বর্ধমানের শক্তিগড়। তা নিয়ে আক্ষেপ ছিল কৃষ্ণনগরের মিষ্টি ব্যবসায়ীদের। শহরকে এক পাশে রেখে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে চলাচল করে হাজার হাজার যানবাহন। অথচ রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের শহরেই তো রয়েছে সরপুরিয়-সরভাজার খাজানা।
শহরের এতদিনকার আক্ষেপ এ বার মিটতে চলেছে। উদ্যোদ সরকারের। জাতীয় সড়কের ধারে বর্ধমানের ধাঁচে তৈরি হবে মিষ্টি-হাব। মুখ্যমন্ত্রী যার নাম দিয়েছেন—‘সরতীর্থ’। জেলা প্রশাসনের আবেদনের ভিত্তিতে দিন সাতেক আগে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দফতর মিষ্টি-হাব গড়ার অনুমোদন দিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর মিষ্টিহাবের জন্য দু’কোটি টাকার একটি বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট পাঠাতে বলেছে। নদিয়ার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, “কৃষ্ণনগরের পিডব্লিউডি মোড়ের কাছে পথের সাথী মটেল-এর পাশে থাকা সরকারি জমিতে মিষ্টিহাব তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পদফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, “বর্ধমানের মত কৃষ্ণনগরে মিষ্টিহাব তৈরি করা হবে। নদিয়া জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে এর জন্য জমি চাওয়া হয়েছে। জমি পেলেই আমরা মিষ্টিহাব তৈরি করবো।”
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মিষ্টি তৈরি থেকে প্যাকেজিং— সব ব্যবস্থাই থাকবে। শহরের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা সেখানে স্টল নিয়ে ব্যবসা করতে পারবেন। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে সারাদিনে প্রচুর গাড়ি চলাচল করে। যার অধিকাংশই উত্তরবঙ্গের। ফলে রাস্তার ধারে সরপুরিয়া, সরভাজা পাওয়া গেলে ব্যবসা যে বাড়বে তা স্বীকার করেছেন মিষ্টি ব্যবসায়ীরাও। যেমনটা হয়েছে শক্তিগড়ে। মিষ্টিহাব তৈরির আগেই সেখানে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে সরকার দোকান করার জমি দিয়েছে।
নদিয়া জেলা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ি কল্যাণ সমিতির-সহ সম্পাদক তাপস দাস বলছেন, “সরকারের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। মিষ্টিহাব হলে কর্মসংস্থানও হবে।” শহরের মিষ্টি ব্যবসায়ীদের দাবি কৃষ্ণনগরের সরপুরিয়া, সরভাজার ঐতিহ্য ৫০০ বছরের। কিন্তু তার প্রচার বা প্রসার তেমন ঘটেনি। হাব হলে হয়তো সেই ঘাটতি মিটবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy