—প্রতীকী চিত্র।
এক নাবালিকাকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠল তিন জনের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করতে গেলে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন তার মা ও বাবা। দুষ্কৃতীদের মারে মাথা ফেটে যায় নাবালিকার বাবার। অভিযোগ এমনটাই। স্থানীয়দের সাহায্যে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে ভর্তি করানো হয়েছে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। নাবালিকা অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া। তিন জনের বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় ধর্ষণের চেষ্টার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নাবালিকার পরিবার। নির্যাতিতার পরিবারের ধারণা, তাঁদের বাড়ির পাশে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মাদক কারবারের কথা জানতে পারায় এই আক্রমণের শিকার হয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শান্তিপুরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে তিন ব্যক্তিকে মাদক পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ। অভিযুক্তদের ধারণা, ওই নাবালিকা ও তার পরিবার পুলিশকে গোপন সূত্রে খবর দিয়ে তাঁদেরকে গ্রেফতার করিয়েছেন। এমনটাই দাবি স্থানীয়দের। জামিনে মুক্ত হয়ে ওই পরিবারের উপরে সে দিনের ঘটনার প্রতিশোধ নিতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন তাঁরা। একাধিক বার প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মঙ্গলবার দুপুরে ওই নাবালিকাকে জঙ্গলে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যায় তিন জন। স্থানীয়েরা বাধা দিতে গেলে তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়। খবর পেয়ে নাবালিকার মা, বাবা ও ভাই জঙ্গলে পৌঁছয়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শারীরিক অত্যাচারে নাবালিকা তখন ওই জঙ্গলে যন্ত্রণায় ছটফট করছিল। অভিযোগ, নাবালিকাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করলে ওই তিন দুষ্কৃতী লোহার রোড ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার পরিবারের উপর হামলা চালায়।
দুষ্কৃতীদের মারে গুরুতর জখম হন নির্যাতিতার বাবা। বেধড়ক মারধর করা হয় তার মাকেও। স্থানীয়েরা একত্রিত হয়ে এসে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থলে স্থানীয়দের ভিড় দেখে পালিয়ে যান তিন অভিযুক্ত। তড়িঘড়ি নাবালিকাকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। নাবালিকার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও, মানসিক ভাবে সেঅত্যন্ত ভয়ের মধ্যে রয়েছে বলে চিকিৎসক সূত্রে জানা গিয়েছে।
নির্যাতিতার মা বলেন, “কিছু দিন আগে আমাদের বাড়ির কাছ থেকেই হেরোইন-সহ ওই তিন জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। ওদের ধারণা আমরাই ওদের ধরিয়ে দিয়েছি। এর আগেও বেশ কয়েক বার প্রাণে মারার চেষ্টা করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে আমার মেয়েকে একা পেয়ে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়ে সুস্থ ভাবে কথা বলার অবস্থায় নেই। ওর মানষিক অবস্থা ঠিক হলে জানতে পারব আসলে কী হয়েছিল।” রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার সানি রাজ বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, তদন্ত চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy