বংলাদেশে গরু পাচারে বাধা দেওয়ায় পাচারকারীরা তাঁকে খুন করার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করলেন রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন। মঙ্গলবার দুপুরে বহরমপুর শহরের বাড়িতে সাংবাদিকদের ডেকে জঙ্গিপুর বিধানসভার বিধায়ক বলেন, ‘‘বাংলাদেশে গরু পাচারের ফলে হাজার হাজার বিঘা ফসল নষ্ট হয়েছে। সেই বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য বেলডাঙার ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের কার্তিক মহারাজের কাছে ২৫ হাজার কৃষক অভিযোগ করেছেন। মহারাজ বিষয়টি জানালে আমি সীমান্তের পাচারকারীদের বিরুদ্ধে সরব হই। তাতেই খেপে গিয়ে আমাকে খুন করার হুমকি দিচ্ছে মামা-ভাগ্নে হিসাবে এলাকার পরিচিত আন্তর্জাতিক গরু পাচারকারীরা।’’
জাকির বলেন, ‘‘এই বিষয়ে পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে আমি জানিয়েছি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও জেলার পুলিশ সুপারকেও জানাব।’’ ফোনে যোগাযোগ করা হলে শুভেন্দু অধিকারীর সাড়া মেলেনি। তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি সুব্রত সাহা বলেন, ‘‘জাকির হোসেনের অভিযোগের বিষয়ে এই প্রথম জানলাম। তাঁর সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’
আন্তর্জাতিক ওই গরু পাচারকারী চক্রের দুই চাঁই-এর নাম করে তাঁদের বিরুদ্ধে নিজের প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ তুলেছেন জাকির। ওই দুই চাঁই সম্পর্কে আপন মামা-ভাগ্নে। আদি বাড়ি লালগোলার কুলগাছি-বটতলা এলাকায় হলেও তাঁদের কারবার চলে রঘুনাথগঞ্জের ওমরপুর মোড়ের একটি অভিজাত হোটেল থেকে। এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয় লোকজনের কথায়, ‘‘সম্প্রতি ওই হোটেল ব্যবসা তুলে দিয়ে সেখানে ফার্নিচারের দোকান করা হয়েছে। সেই ফার্নিচারের দোকানের আড়ালে রয়েছে তাঁদের চোরাই ব্যবসার জন্য কর্পোরেট ধাঁচের কার্যালয়। মন্ত্রীর দাবি, ‘‘ওই পাচারকারীরা ওমরপুর মোড়ে তোলাবাজিও করে।’’
সরাসরি পুলিশে অভিযোগ দায়ের না হওয়ায়, পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করেনি। তবে তারা জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগ জমা পড়লে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy