Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Ganges

গঙ্গায় তলিয়ে যাচ্ছে সারা গ্রাম

তবে লালগোলা আঠারোশিয়া সীমান্তের তারকাঁটা বরাবর সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের কাজ শুরু করেছে অ্যান্টি ইরোশন দফতর।

বস্তা ফেলে ভাঙন রোখার চেষ্টা।

বস্তা ফেলে ভাঙন রোখার চেষ্টা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
লালগোলা ও শমসেরগঞ্জ শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:০১
Share: Save:

গঙ্গার ভয়াবহ ভাঙনে কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে আস্ত গোটা একটি গ্রাম। দোতলা-তিনতলা পাকা বাড়ি গিলে খেয়ে নিয়েছে আগ্রাসী গঙ্গা। বাড়িঘর হারিয়ে শুধুই কান্নার রোল পড়েছে মুর্শিদাবাদের শমসেরগঞ্জের ধানঘরা, হিরানন্দপুর এলাকায়। শুক্রবার সকাল থেকে ফের গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যায় কৃষিজমি। এদিকে গঙ্গা ভাঙ্গনে বাড়ি-ঘর তলিয়ে গেলেও এলাকায় সংখ্যালঘু-অধ্যুষিত গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই বিড়ি শ্রমিক রাজমিস্ত্রি হওয়ায় নতুন করে জমি জায়গা কিনে বাড়ি করতে অনেকেই পারছেন না। তাদের আশ্রয় এখন পঞ্চায়েতের দেওয়া ত্রিপলের তলায়। ঘরের আসবাব সরাতে গিয়ে অনেকে তাদের কাজে যেতে না পারায় অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে। ভাঙন কিন্তু চলছে। নিমতিতা ও কামালপুরে গঙ্গার পার থেকে মাটি খসে পড়ছে। এতে ঘুম ছুটছে এলাকাবাসীর।

তবে লালগোলা আঠারোশিয়া সীমান্তের তারকাঁটা বরাবর সব থেকে ক্ষতিগ্রস্ত এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের কাজ শুরু করেছে অ্যান্টি ইরোশন দফতর। এদিন অ্যান্টি ইরোশন দফতরে মুর্শিদাবাদ ডিভিশন (এক)-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্চিনিয়ার জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘বালির বস্তা ফেলায় ভাঙন কিছুটা রোখা গিয়েছে। তবে এখনও নৌকা থেকে বালির বস্তা ফেলার কাজ শুরু করা যায়নি। সেটা হলে আরও ভাল ভাবে বালির বস্তার কাজ করা যেত।’’

যদিও বিএসএফ সূত্রে খবর, শুক্রবার বিএসএফ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের কর্তাদের নিয়ে ফ্ল্যাগ মিটিং করা হয়েছে। এই মুহূর্তে বন্ধ রাখা হয়েছে বাঁশের খাঁচায় ঢেলা ইট ও মাটি ভর্তি করে ফেলে ভাঙন রোধের কাজ এই মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে। বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন দু’য়েক আগে পদ্মার জল কিছুটা কমলেও ফের নতুন করে বেড়েছে পদ্মার জল। এ দিন জয়ন্তবাবু এও জানান, ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ভাঙনরোধের জন্য একটি পরিকল্পনা পাঠানো হয়েছে সেটি অনুমোদন করলে ভাঙন রোধের কাজ আরও ভাল ভাবে কাজ করা যাবে।

গত কয়েক সপ্তাহ আগে থেকে গঙ্গা তার ভয়াল থাবা বসিয়েছে শামসেরগঞ্জের শিবপুর, ধানঘড়া-হিরানন্দপুর গ্রামে। ভিটেমাটি হারিয়ে নিরাশ্রয় হয়েছেন শতাধিক পরিবার। কেউ কেউ আবার আর ভরসা না করে বাড়ির সমস্ত আসবাবপত্র সরিয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Ganges Erosion
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy