এর আগেই উত্তর নদিয়ায়, বিশেষ করে তেহট্ট মহকুমায় তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রতীকী ছবি।
সিপিএমে যোগ দিলেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি-সহ বেশ কিছু কর্মী। বুধবার সন্ধ্যায় ধুবুলিয়ার চুপিপোতা গ্রামে তাঁদের হাতে লালঝান্ডা তুলে দেওয়া হয়। করিমপুর, তেহট্ট ও পলাশিপাড়ার পর এ বার খোদ মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের খাসতালুকে এ ভাবে সংখ্যালঘু এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগ দেওয়ার ঘটনা শাসক দলের কাছে বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন অনেকেই। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব প্রকাশ্যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।
এর আগেই উত্তর নদিয়ায়, বিশেষ করে তেহট্ট মহকুমায় তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগ দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি তেহট্টের আশরাফপুর এলাকায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য-সহ প্রায় তিনশো পরিবার তৃণমূল ছেড়ে সিপিএমে যোগ দিয়েছিল। এ বার আবার ধুবুলিয়ার সাধনপাড়া ১ পঞ্চায়েতের অধীনে চুপিপোতা গ্রামে শ’খানেক তৃণমূল কর্মী তাদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে সিপিএমের দাবি। সেই সঙ্গে ওই গ্রামে এ দিন একটি পার্টি অফিসেরও উদ্বোধন করা হয়েছে।
ঘটনাচক্রে, এই গ্রামেই বাস করেন তৃণমূলের সাধানপাড়া ১ অঞ্চল সভাপতি আবু সায়েদ মণ্ডল। সম্প্রতি এই অঞ্চলেরই রুকুনপুর গ্রামে প্রার্থী বাছাই বৈঠকে তাঁকে মেরে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছিল দলেরই নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এ বার তাঁরই গ্রামে সেই প্রার্থী বাছাই নিয়ে বিবাদের জেরে বুথ সভাপতি ও কর্মীদের একটা বড় অংশ সিপিএমে যোগ দিয়েছেন বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি।
এ দিন চুপিপোতা গ্রামের ১১ নম্বর বুথের তৃণমূল সভাপতি আশরফ শেখ সিপিএমে যোগ দেন। তাঁর অভিযোগ, “অঞ্চল সভাপতি-সহ সর্বস্তরের নেতারা লুটেপুটে খেতে ব্যস্ত। মানুষের কথা কেউ ভাবে না।”
তিনি বলেন, “সারা বছর ধরে আমি মানুষের সুখে-দুঃখে থাকব আর অঞ্চল সভাপতি নিজে প্রার্থী হবেন, সেটা মানতে পারব না। এ বার আমরা দেখিয়ে দেব, মানুষ কাদের সঙ্গে আছে।”
যা শুনে অঞ্চল সভাপতি আবু সায়েদ মণ্ডল বলেন, “টিকিট পাওয়ার লোভে কেউ দল করতেই পারে। কিন্তু সিন্ধান্ত নেয় দল।” তাঁর দাবি, “আশরফের সঙ্গে কেউ নেই। ওকে আগেই দল থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে। সিপিএমে প্রার্থী পাচ্ছে না বলে এদের আঁকড়ে ধরতে চাইছে। যারা এ দিন ওই দলে যোগ দিল তারা আসলে সিপিএমটাই করে।”
সিপিএমের ধুবুলিয়া এরিয়া কমিটির সম্পাদক নুর মহম্মদ খানের পাল্টা দাবি, “সবে তো শুরু। মানুষ দুর্নীতিতে ডুবে থাকা তৃণমূলকে আর মেনে নিতে পারছে না। আগামী দিনে এমন ঘটনা আরও ঘটতে চলেছে।” মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy