প্রতীকী ছবি।
এলাকার উন্নয়ন না হওয়ায় প্রতিবাদে দলের কয়েকশো কর্মী সমর্থক তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন ধুলিয়ান পুরসভায়। বুধবার সন্ধ্যায় গাজিনগরে এক সংবর্ধনা সভায় কংগ্রেসের জয়ী জেলা পরিষদ সদস্য আনারুল হক বিপ্লবের হাত ধরে দল ছাড়েন তাঁরা।
দলত্যাগীরা সকলেই কংগ্রেসের কর্মী ছিলেন এক সময়। ২০২১ সালে তাঁদেরই চেষ্টায় ধুলিয়ান পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পাশ করে কংগ্রেসের কাউন্সিলর হন ওবাইদুর রহমান। জেতার দিন দশেকের মধ্যেই ওবাইদুর দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তখনই তাঁর সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন ওবাইদুরের কয়েকশো অনুগামী কংগ্রেস কর্মী।
দল ছেড়ে এ দিন ওমর ফারুকের অভিযোগ, “আমরা কংগ্রেসেই ছিলাম। কংগ্রেস থেকেই কাউন্সিলর হন ওবাইদুর রহমান। কিন্তু ভোটে জিতে তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। তাঁর কথা মতো এলাকার উন্নয়নের জন্য কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করি আমরা কয়েকশো কংগ্রেস কর্মী। কিন্তু দু’বছর পেরিয়ে গেলেও এলাকায় কোনও উন্নয়ন হয়নি।’’ তবে ওবাইদুর বলেন, ‘‘বুধবার যাঁরা কংগ্রেসে যোগদান করেছেন, তাঁদের জন্য তৃণমূলের বা আমার সাংগঠনিক কোনও ক্ষতি হবে না।’’ ধুলিয়ানের পুরপ্রধান তৃণমূলের ইনজামামুল ইসলামেরও বক্তব্য, ‘‘কোথাও যদি কোন পরিষেবা থেকে কেউ বঞ্চিত হয়ে থাকেন, তা হলে আমাকে জানাতেই পারতেন সে সমস্যার কথা।”
বিপ্লব অবশ্য বলেন, ‘‘তৃণমুল মানুষকে ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে কংগ্রেস ছাড়তে বাধ্য করেছিল। ধুলিয়ানে বোর্ড গড়তে কংগ্রেসের কাউন্সিলর ভাঙানো হয়েছিল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ মুখ আর মুখোশের তফাৎ বুঝেছে। তাই যাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমুলে গিয়েছিলেন, তাঁরা কংগ্রেসে ফিরে আসছেন।’’ জঙ্গিপুরের জেলা তৃণমূলের সভাপতি খলিলুর রহমান যদিও বলেন, “কয়েক জন কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাঁরা তৃণমূলের কোনও পদে ছিলেন বলে জানা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy