—প্রতীকী চিত্র।
ভাসানের ঠিক আগে মণ্ডপের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিমা দর্শন করছিলেন প্রৌঢ়। আচমকা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন এক ব্যক্তি। এলোপাথাড়ি কোপ মারেন প্রৌঢ়ের শরীরে। ইট দিয়েও আঘাত করেন একাধিক বার। তার পরেই ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান হামলাকারী। প্রৌঢ়কে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম সুবীর বিশ্বাস (৫৬)। তাঁকে আক্রমণ করেন গোলক হালদার নামের এক ব্যক্তি। তিনি ওই একই এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের মধ্যে পুরনো শত্রুতা ছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়েরা। মঙ্গলবার পাড়ার এক পুজোমণ্ডপের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন সুবীর। মণ্ডপে তখন ভাসানের প্রস্তুতি চলছিল। তখনই আচমকা তাঁর উপর হামলা হয়।
সুবীরের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। খুনের ধরন জানতে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে এক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে।’’ তবে মূল অভিযুক্ত গোলককে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ। তাঁর সন্ধান চলছে।
পারিবারিক বিবাদের জেরে দীর্ঘ দিন ধরেই গোলক এবং সুবীরের ঝামেলা চলছিল বলে দাবি মৃতের পরিবারের। সেই পুরনো গন্ডগোলের জেরেই এই হামলা। মৃতের স্ত্রী গোলকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মৃতের ভাই বিষ্ণুপদ বিশ্বাস বলেন, ‘‘পুরনো শত্রুতার জেরে প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পিত ভাবে এই হামলা করা হয়েছে। চাকু এবং ইট দিয়ে দাদাকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে রেখে গিয়েছিল। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy