প্রতীকী ছবি।
শেষ পর্যন্ত মাদ্রাসা পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার সরকারি অনুদান মেলা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটতে চলেছে। ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালে অন্তর্ভুক্তি না থাকায় সরকারি খরচে ট্যাব পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল মাদ্রাসা পড়ুয়াদের মধ্যে। শনিবার তা আনন্দবাজারে প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর।
ওই দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাদ্রাসা শিক্ষা দফতর থেকে দু’টি ‘ফরম্যাট’ পেয়েছে জেলার বিভিন্ন মাদ্রাসা। শিক্ষা দফতরের আধিকারিকেরা এ বিষয়ে হাইমাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে শনিবার সন্ধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সও করেন।
তবে ২৮ তারিখের মধ্যেই ওই ‘ফরম্যাট’ পূরণ করে মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের নির্দিষ্ট মেলে পাঠাতে হবে বলে জানানো হয়েছে তাঁদের। তবে, এত স্বল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে সমস্ত পড়ুয়ার তথ্য ওই নির্দিষ্ট ফরম্যাটে দেওয়া যাবে, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।
জেলা সংখ্যালঘু দফতরের আধিকারিক ডিওএমএ (ডোমা) বাপ্পা গোস্বামী বলেন, ‘‘মাদ্রাসা শিক্ষা দফতরের নির্দেশ মতো প্রতিটি উচ্চমাধ্যমিক মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট ফরম্যাট পূরণ করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।’’ জানা গিয়েছে, ম্যানুয়ালি একটি নির্দিষ্ট ফরম্যাটে পড়ুয়ার যাবতীয় তথ্য, পড়ুয়া, অভিভাবক, মাদ্রাসা প্রধানের স্বাক্ষর-সহ শিক্ষা দফতরের নির্দিষ্ট মেলে পাঠাতে হবে। পাশাপাশি একটি ‘এক্সেল শিটে’ ওই তথ্য পূরণ করে পাঠাতে হবে।
গঙ্গাপ্রসাদ হাইমাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘সবই বুঝলাম, কিন্তু এত কম সময়ের মধ্যে যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে ফরম্যাট পূরণ করতে কিছুটা বাড়তি সময় দেওয়া প্রয়োজন। দফতরের কাছে দু’-এক দিন সময় বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছি।’’
অনেক মাদ্রাসা ছুটির দিনেও রাত পর্যন্ত পড়ুয়াদের তথ্য সংগ্রহ করে ফরম্যাটে তোলার কাজ করছেন বলে জানা গিয়েছে। হরিহরপাড়ার পদ্মনাভপুর হাইমাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মইনুল ইসলাম বলেন, ‘‘এরকম পরিস্থিতি হবে তা আগাম আঁচ করে পড়ুয়াদের ব্যাঙ্ক ডিটেলস নিজেদের উদ্যোগেই জমা নিয়েছি। রবিবার সকাল থেকেই ফরম্যাট পূরণ ও এক্সেল শিটে তোলার কাজ শুরু হয়েছে।’’
সমস্ত উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য দশ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে শিক্ষা দফতরের ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালে মাদ্রাসাগুলির নাম অন্তর্ভুক্ত না থাকায় সমমান ও একই পাঠক্রমের মাদ্রাসার উচ্চমাধ্যমিক ও ফাজ়িল পরীক্ষার্থী দোটানায় পড়েছিলেন। তবে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অমরকুমার শীল আশ্বাস দিয়েছেন, সমস্ত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী যাতে ট্যাব কেনার জন্য টাকা পায়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে কথাও হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy