কান্দি পুরসভার কাউন্সিলর ডেভিড ওরফে অপূর্ব সরকার।
‘অধীর-বধে’র লক্ষ্যে মমতা বন্দ্যোপধ্যায়ের হাতিয়ার ‘অধীর-কৌশল’। বারো বছর আগের অগ্নিপরীক্ষায় ‘অধীর-কৌশলে’ কাত হয়েছিলেন ‘রাজাবাবু’ অতীশ সিংহ, তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। ২০০৬ সালের বিধানসভা ভোটে কান্দির কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন অতীশ সিংহ। দলীয় ওই প্রার্থীকে মানতে নারাজ মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। ‘হাত’ প্রতীকের প্রৌঢ় অতীশ সিংহের বিরুদ্ধে নির্দলের ‘কুঠার’ প্রতীকের মধ্য তিরিশের অপূর্ব সরকারকে লড়িয়ে দিলেন তিনি। অবশেষে বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে ফেলে দিয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হন কান্দি পুরসভার কাউন্সিলর ডেভিড ওরফে অপূর্ব সরকার।
কান্দির পুরভোটে অতীশ মনোনীত কংগ্রেস প্রার্থীকে হারিয়ে ২০০৫ সালে অধীর-বদান্যতায় নির্দল কাউন্সিলর হিসাবে নির্বাচিত হন ডেভিড। বছর দুয়েক আগেও কংগ্রেসের কান্দি মহকুমার সংগঠন, সাংসদ ও বিধায়ক তহবিলের উন্নয়নমূলক কাজ, ভোট প্রচার- সহ সব কিছুর রাশ ধরা ছিল ডেভিডের হাতে। সেই ডেভিড দিয়েই এ বার গুরুমারা বিদ্যে ফলাতে চাইছে তৃণমূল। সফল হলে ভাল, না হলে দায় ডেভিডের!এ কারণেই কিছুদিন আগে তাঁকে বহরমপুর পুরসভার অন্যতম প্রশাসক করা হয়।
তৃণমূলের এক জেলা নেতার কথায়, ‘‘অধীরের মতো ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থীর বিরুদ্ধে বহিরাগত ইন্দ্রনীল সেনকে এক বার দাঁড় করিয়ে দলের মুখ পুড়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রার্থী হাতড়াতে গিয়েও দলের নাজেহাল দশা। ডেভিড তবুও কানার মধ্যে ঝাপসা। তাই অপূর্ব।’’ গত শতাব্দীর আশির দশকে বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় অধীর চৌধুরী ফেরার। সেই সময় ডেভিডদের বাড়িতে অনেক বার আত্মগোপন করেছিলেন অধীর। তখন থেকে অধীরের সঙ্গে এসএফআই সংগঠক ডেভিডের ঘনিষ্ঠতার শুরু। অধীর-রাজনীতির অলিগলি চষে বেড়ানো ডেভিডই তাই শেষ ভরসা এখন তৃণমূলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy