সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে এমন নকল আঙুল।
(সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এই ‘খবর’টি নিয়ে আমরা পরে আরও সবিস্তারে খোঁজ নিই। দেখা গিয়েছে এটি সর্বৈব ভুল। এমন কোনও ঘটনা বাস্তবে ঘটেনি)
যিনি ভোটের কালির কোম্পানির নাম জানতে চেয়ে প্রিসাইডিং অফিসারকে বিড়ম্বণায় ফেলে দিয়েছিলেন, সেই মন্টুর বাবা ভোটের বাজারে অফিসে বসে মন দিয়ে কাজ করছিলেন। আচমকা তাঁর মোবাইলে টুং-টাং হেঁচকি তুলে একটি মেসেজ ঢোকে। মেসেজ খুলেই দেখেন একটি ছবি। আর তার নীচে লেখা— ‘ভোট দেওয়ার জন্য নকল আঙুল তৈরি করা হচ্ছে। জানি না আমরা কোথায় যাচ্ছি?’ ছাপ্পা ভোট দেওয়ার জন্য নকল আঙুল তৈরি হচ্ছে মেশিনে। দেখে বোঝার উপায় নেই, সে আঙুল আসল না নকল!
সেই নকল আঙুলের মধ্যে আঙুল গলিয়ে বুথে ঢুকে ভোট দিয়ে বেরিয়ে এসে কালি লাগানো সেই নকল আঙুল খুলে রাখবেন। ফের বুথে ঢুকে নিজের ভোট নিজে দেওয়ার ক্ষেত্রে এ বার কোনও অসুবিধে থাকবে না তাঁর। কারণ আঙুল তো তখন কলঙ্কহীন!
ওই পোস্টের নীচে গব্বর সিংহের কথা ধার করে এক জন লিখেছেন—‘ইয়ে আঙুল হামকো দে দে ঠাকুর’। মোবাইল স্ক্রিনে সেই পোস্ট দেখে দ্রুত একটা হাসির ইমোজি দিলেন ঠুকে। মন্টুর বাবা নিজের মনে বিড়বিড় করেন, ‘‘ভোটে কালি তুলতে কত রকমের জোচ্চ্ুরি দেখেছি, শুনেছি। তবে এমন নকল আঙুলের যে আমদানি হতে পারে কখনও তা তো বাপের জন্মে ভাবিনি!’’
আরও পড়ুন: ছাপ্পা ভোটের ভুয়ো খবর, জাপানের কৃত্রিম আঙুলই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
কোনও এক গায়ক পাড়ার এক অনুষ্ঠানে ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’ গানটা গেয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। গায়ক গাড়ি থেকে নামতে যাবেন, এমন সময়ে এক জনপ্রতিনিধি গায়কের গাড়ির দরজা ধরে টানাটানি শুরু করেন—‘এই যে, আমাদের বাড়ির লোকেদের নিয়ে গান করা..? পিঠের চামড়া তুলে দেব।’’
ওই কথা শুনে মহা বিপদে পড়েন গায়ক। আমতা আমতা করে বলেন—‘কই, আমি তো আপনাদের বাড়ির কাউকে নিয়ে গান করিনি!’
জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘‘করিসনি! ওই যে গাইছিলি ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’। জানিস আনন্দ আমার দাদার নাম, মঙ্গলা আমার বোনের নাম। বিরাজ আমার জেঠুর নাম।’’
গায়ক বোঝানোর চেষ্টা করেন—‘‘দাদা, বিশ্বাস করুন...।’’
জনপ্রতিনিধি চিৎকার করে বলেন, ‘‘ছাড় তোর বিশ্বাস। তার পরে ওই যে কী যেন...... ও হ্যাঁ, মনে পড়েছে। জানিস সত্যসুন্দর আমার বাবার নাম। মহিমা আমার বৌয়ের নাম। গগন আমার কাকা। মণিভূষণ দাদুর নাম। তারক সেজ ভাই এবং তপন আমার ছোট ভাইয়ের নাম।’’
অসহায়তা প্রকাশ করে গায়ক বলেন, ‘‘দাদা, আমি কী করব বলুন! গানটা তো আমি লিখিনি।’’
জনপ্রতিনিধি জানতে চান, ‘‘কে লিখেছে তা হলে?’’ গায়ক বলেন, ‘‘আরে, ওটা তো লিখেছেন রবি ঠাকুর।’’ প্রার্থী তখনও আরও ক্ষোভে বলেন, ‘‘তাই নাকি ! ঠিক আছে। গাড়িটা রেখে যা। কাল তোর ওই রবিকে নিয়ে আসবি। ওর সঙ্গে বোঝাপড়া আছে। ফয়সালা হলে তার পরে তোর গাড়ি ফেরত পাবি।’’
কোনও দলের নেতানেত্রী আলটপকা মন্তব্য করলেই ওই পোস্ট ডুবুরির মতো ভেসে ওঠে সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়ালে। ভোট মরসুমে আমজনতা গিলছেন গোগ্রাসে। ভোট বাজারে নতুন একটা পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ার দেওয়াল থেকে দেওয়ালে ঘুরে বেড়াচ্ছে—‘‘ডিএ চেয়েছিলাম বলে আপনি বলেছিলেন ‘ঘেউ ঘেউ করবেন না।’ এ বার আপনি ভোট চাইলে আমরা কী বলব? প্লিজ, বলে দিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy