ছবি সংগৃহীত
রাজ্য সরকারের ঘোষণা মতো সোমবার থেকে জেলার অফিস কাছারি খুলেছে। তবে বহরমপুর ব্লক অফিস, বহরমপুর পুরসভা, জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনিক ভবনে অনেক দফতরেই উপস্থিত কর্মীসংখ্যা ছিল কম। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ৭০ শতাংশ কর্মী নিয়ে সরকারি দফতর খোলার কথা থাকলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক না হওয়ায় সব কর্মী উপস্থিত হতে পারেননি। যদিও বহরমপুর ব্লক অফিস ও জেলা পরিষদ দফতরে কর্মীসংখ্যা একশো শতাংশ ছিল বলেই সরকারি ওই দুই দফতর সূত্রে দাবি করা হয়।
সেখানে কর্মীদের ডিউটি সংক্রান্ত কোনও রোস্টার অবশ্য ছিল না। অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সুদীপ্ত পোড়েল বলেন, “লকডাউনের সময় যখন পঞ্চাশ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হচ্ছিল, তখন রোস্টার রাখা ছিল। কিন্তু জরুরি পরিষেবা বজায় রাখতে গিয়ে কর্মীসংখ্যা আগেই বাড়াতে হয়েছিল। তাই রোস্টার করার প্রয়োজন হয়নি।”
এ দিন দু-একটি সরকারি দফতর বাদে কোনও সরকারি দফতর স্যানিটাইজ করা হয়নি। কর্মীদের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারেও শিথিলতা ছিল স্পষ্ট। জেলা পরিষদ ভবনে কোনও রকম জিজ্ঞাসা ছাড়াই এক দফতর থেকে আর এক দফতরে অবাধ যাতায়াত ছিল। সেখানে ছিল না হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থাও। যদিও অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) বলেন, “কিছু দিন আগেই জেলাপরিষদ ভবন স্যানিটাইজ় করা হয়েছে। সকালের দিকে কর্মীও সাধারণ মানুষকে থার্মাল স্ক্রিনিং করে হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ব্যবহার করে দফতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।” বহরমপুর পুরসভার এক নম্বর প্রবেশ দ্বারে স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থা থাকলেও তা নাম কে ওয়াস্তেই ছিল বলে দাবি করেন পুরসভায় আসা মানুষজন। বহরমপুরের বাসিন্দা অলোক দাস বলেন, “পরিচিত কাউকে দেখলে কিংবা হঠাৎ মনে পড়ে গেলে তাঁদের হাতে কয়েক ফোঁটা স্যানিটাইজ়ার দিয়ে কাজ সারছে পুরসভা।” যদিও লকডাউন পর্বের মাঝখানে একবার পুরভবন স্যানিটাইজ করা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রে জানা যায়।”
জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরেও ছিল একই চিত্র। সেখানে দফতরের কর্মীদের সঙ্গে পরিষেবা নিতে আসা মানুষজনের মধ্যে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে দড়ি দিয়ে ঘিরে রাখা ছিল সেই সব দফতর। নিজেদের মধ্যে অবশ্য সেসবের কোন বিধি নিষেধ ছিল না, ছিল না স্যানিটাইজারের ব্যবস্থাও। ভবনটি এ দিন স্যানিটাইজ় করা হয়নি। তবে ওই দফতরে এ দিন সাধারণ মানুষের ভিড় একদমই ছিল না। অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) সিরাজ দানেশ্বর বলেন, “সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য যা কর্মী সংখ্যা প্রয়োজন, তাই উপস্থিত ছিল বিভিন্ন দফতরে। আর সব দফতর তো লকডাউনের সময় বন্ধ ছিল না যে তার জন্য নতুন করে সব দফতর স্যানিটাইজ় করতে হবে।” যা শুনে মধুপুরের বাসিন্দা শঙ্কু নন্দী বলেন, “স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চললে আগামী দিনে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে যাবে বলে মনে হয়।” তুলনামুলক ভাবে বেসরকারি ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সচেতনতা বিধি বজায় রাখা হয়েছে। জীবন বিমা দফতরের জেলা কার্যালয়ে কর্মীদের উপস্থিতি হার ছিল ভালই। বহরমপুর শাখার ব্রাঞ্চ ম্যানেজার দুলাল চক্রবর্তী বলেন, “ডিউটি রোস্টার অনুযায়ী সব কর্মীই কাজে আসছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy